নিজস্ব প্রতিবেদন: বিজেপিকে রুখতে দিল্লির বর্তমান মুখ্যমন্ত্রীর ‘পাশে’ প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীকে দাঁড় করাতে এখন মরিয়া রাহুলের দল। যে ব্যক্তিকে উত্খাত করে অরবিন্দ কেজরীবাল মুখ্যমন্ত্রীর আসনে বসেছেন, তাঁরই ‘হাতে-হাত’ রেখে ভোটের ময়দানে নামবেন তিনি! অবাক হলেও, আগামী দিনে রাজনৈতিক মঞ্চে এক আসনে কেজরীবাল এবং শীলা দীক্ষিতকে দেখা যেতে পারে বলে মনে করছেন রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা। সৌজন্যে অবশ্যই কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধীই।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

শুক্রবার, দিল্লির প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতির পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছেন অজয় মাকেন। ওই পদে দিল্লির প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী শীলা দীক্ষিতকে বসানো হতে পারে বলে কংগ্রেস অন্দরমহল সূত্রে খবর। মনে করা হচ্ছে, অরিবন্দ কেজরীবালের চরম উল্টো মেরুতে থাকায় ওই পদ থেকে হটানো হয়েছে তিন বারের বিধায়ক মাকেনকে। মহাজোটের ক্ষেত্র তৈরিতে কেজরীবালের হাত ধরতে কার্যত প্রস্তুত কংগ্রেস।


আরও পড়ুন- গোলমাল পাকালে শেষ করে দেব, বিজেপি নেতাকে হুঁশিয়ারি মুখ্যমন্ত্রী চন্দ্রবাবুর


তবে, সম্প্রতি শিখ নিধন ইস্যুকে কেন্দ্র করে কংগ্রেসের চরম বিরোধিতা করতে দেখা গিয়েছে আম আদমি পার্টিকে। দিল্লি বিধানসভায় রাজীব গান্ধীর ‘ভারতরত্ন’ সম্মান প্রত্যাহারের দাবিতে বিল পাশ করানো হয় বলে খবর। কিন্তু আপ-এর তরফে এই খবর অস্বীকার করা হয়। এমনকী, আপ-কে উল্টো পথে চলতে দেখায় প্রবীণ আইনজীবী তথা আপ নেতা এই এস ফুলকা ইস্তফা দেন। তারপরও রা কাটেনি কেজরীবালের দল। এর ফলে জল্পনা শুরু হয়ে যায়, রাজধানীতে শাসক-বিরোধীর দূরত্ব যতই থাক, জাতীয় রাজনীতিতে বিজেপিকে হটাতে কংগ্রেসের পাশেই থাকতে চাইছেন কেজরীবালও।


আরও পড়ুন- কংগ্রেসকে উপেক্ষা করেই বুয়া-ভাতিজার জোট! জোর জল্পনা রাজনৈতিক মহলে


উল্লেখ্য, শারীরিক অসুস্থতার কারণে প্রদেশ কংগ্রেসের পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছেন বলে মাকেন জানান। অন্দর সূত্রে খবর, লোকসভা নির্বাচনে জাতীয় স্তরে আরও গুরুত্বপূর্ণ কাজে মাকেনকে রাখতে চাইছেন রাহুল গান্ধী। এমনকী, জানা যাচ্ছে, নির্বাচনে লড়তেও পারেন তিনি। এ নিয়ে দ্বিতীয়বার ওই ইস্তফা দিলেন অজয় মাকেন। এর আগে ২০১৭ সালে দিল্লির পুরভোটে পরাজয়ের দায় নিয়ে সরে আসেন মাকেন। কিন্তু রাহুল গান্ধীর ‘নির্দেশেই’ ওই পদে ফের আসীন হন অজয় মাকেন।