নিজস্ব প্রতিবেদন: নয়া সিবিআই অধিকর্তা হলেন আইপিএস অফিসার ঋষি কুমার শুক্লা । শনিবার, প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে উচ্চপর্যায়ের নিয়োগ কমিটি ১৯৮৪ ব্যাচের এই অফিসারকে সিবিআই অধিকর্তা পদে নিয়োগ করে। মধ্য প্রদেশে প্রাক্তন ডিরেক্টর জেনারেল অব পুলিস (ডিজিপি) দু’বছরের জন্য ওই পদে নিযুক্ত করা হল। এই মুহূর্তে অন্তর্বর্তীকালীন সিবিআই অধিকর্তা হিসাবে ওই পদ সামলাচ্ছিলেন এম নাগেশ্বর রাও।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন- আর্থিক দুর্নীতি মামলায় আপাতত স্বস্তি প্রিয়ঙ্কার স্বামী, ১৬ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত আগাম জামিন বঢরার


শনিবারই সিবিআইয়ের অধির্কতা পদের জন্য চূড়ান্ত নাম কেন্দ্র ঘোষণা করতে পারে বলে জানা যাচ্ছিল। গতকাল দ্বিতীয় বৈঠক হয় প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে উচ্চপর্যায়ের নিয়োগ কমিটির। জানা যায়, এ দিন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী চতুর্থ জনের নাম প্রস্তাব রাখলে, তার বিরোধিতা করেন কংগ্রেসের বিরোধী দলনেতা মল্লিকার্জুন খাড়গে।


গত ২৪ জানুয়ারি প্রথম বৈঠকে সিবিআইয়ের অধিকর্তা বাছাইয়ের সিদ্ধান্ত নিতে পারেনি উচ্চপর্যায়ের কমিটি। ওই কমিটির সদস্য খাড়গে দাবি করেছিলেন, যে প্রার্থীদের নাম প্রস্তাব করা হয়েছে, তাঁদের বিষয়ে বিস্তারিত কোনও তথ্য নেই। জানা যায়, সরকারের তরফে তিন জন প্রার্থীর নাম প্রস্তাব করা হয়েছিল। তাঁরা হলেন, ১৯৮৪ ব্যাচের আইপিএস অফিসার জাভেদ আহমেদ, রজনীকান্ত মিশ্র এবং এস এস দেওয়াল। ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব ক্রাইমিনোলজি অ্যান্ড ফরেন্সিক এজেন্সির প্রধান হলেন উত্তর প্রদেশের ক্যাডার জাভেদ আহমেদ। বিএসএফের প্রধান পদে রয়েছেন রজনীকান্ত মিশ্র। আর এই মুহূর্তে হরিয়ানার ক্যাডার এস এস দেওয়াল ইন্দো-তিব্বত সীমান্ত রক্ষী (আইটিবিটি)র ডিরেক্টর জেনারেল পদ সামলাচ্ছেন। কেন্দ্রের তরফে জানানো হয়েছিল, ওই বৈঠকে সিবিআইয়ের ডিরক্টর পদে কোনও মীমাংসা করা যায়নি।


আরও পড়ুন- চেন্নাই বিমানবন্দরে যুবকের ব্যাগ তল্লাশি করতেই বেরিয়ে এল চিতাবাঘের বাচ্চা


সিবিআইয়ের অন্তর্বর্তীকালীন অধিকর্তা এম নাগেশ্বর রাওয়ের নিয়োগ সংক্রান্ত একটি মামলা হয়েছে সুপ্রিম কোর্টে। পাশাপাশি, প্রাক্তন সিবিআই অধিকর্তার অলোক ভার্মার বরখাস্ত নিয়েও মামলা হয়। বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, সিবিআই ডিরেক্টর পদের চূড়ান্ত নাম ঘোষণা হলে, নাগেশ্বরের মামলা গুরুত্বহীন হয়ে পড়বে। উল্লেখ্য, সম্প্রতি ঘুষ নেওয়া নিয়ে মতবিরোধ তৈরি হয় সিবিআইয়ের দুই উচ্চপদস্থ কর্তা অলোক ভার্মা এবং রাকেশ আস্থানার। ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই তাঁদের ছুটিতে পাঠায় প্রধানমন্ত্রীর দফতর। কেন্দ্রের ‘ছুটি’ পাঠানোর সিদ্ধান্তেকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে অলোক ভার্মা সুপ্রিম কোর্টে দ্বারস্থ হলে, ফের তাঁকে ডিরেক্টরের পদে পুর্নবহাল করে প্রধান বিচারপতির বেঞ্চ। পাশাপাশি নিয়োগ কমিটিকে সুপ্রিম কোর্ট নির্দেশ দেয় ভার্মার বিষয়ে পদক্ষেপ করার। এরপরই, নিয়োগ কমিটি ভার্মাকে সরিয়ে ফের এম নাগেশ্বরকে অন্তর্বর্তীকালীন অধিকর্তার পদে বসানোর সিদ্ধান্ত নেয়। ভার্মাকে পাঠানো হয় কম তুলনামূলক পদ দমকলের ডিজি করে। তারপরই ইস্তফা দেন অলোক ভার্মা। তাঁর কার্যকালের মেয়াদ ছিল গত ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত।