নিজস্ব প্রতিবেদন: মাথার উপর থেকে এবার ছাদ হারাতে পারেন অটল বিহারী বাজপেয়ী, প্রণব মুখোপাধ্যায়, ডঃ মনমোহন সিং-রা! 'লোক প্রহরী' নামের এক স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের দায়ের করা মামলার ভিত্তিতে দেশের শীর্ষ পদে থাকা প্রাক্তনদের সরকারি আবাসস্থলের উপর এবার পড়তে পারে কোপ।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীদের সরকারি বাসভবন বরাদ্দ করা সংক্রান্ত উত্তরপ্রদেশ সরকারের আইনকে চ্যালেঞ্জ করে ২০১৬ সালের ২৩ অগস্ট দেশের শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হয় লোক প্রহরী। এই রিট পিটিশনের বিষয়বস্তু পর্যালোচনা করে বিচারপতি রঞ্জন গগৈ এবং নবীন সিনহার ডিভিশান বেঞ্চ জানায়, শুধু উত্তরপ্রদেশই নয়, অন্যান্য রাজ্যে এবং কেন্দ্রে এধরনের আইন থেকে থাকলে সেগুলিরও বৈধতা যাচাই করা হোক। এমন মত প্রকাশের পাশাপাশি, আদালতের তরফে এই মামলায় দেশের প্রাক্তন সলিসিটর জেনারেল তথা প্রবীণ আইনজীবী গোপাল সুব্রহ্মণ্যমকে 'আদালত বন্ধু' হিসাবে নিয়োগ করা হয়।


দায়িত্ব পেয়ে ইতিমধ্যেই নিজের মত জানিয়েছেন গোপাল সুব্রহ্মণ্যম। দেশের প্রাক্তন সলিসিটরের মতে, সাংবিধানিক পদ চলে যাওয়ার বা ত্যাগ করার পর সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি সাধারণ নাগরিকে পরিণত হন। আর সাধারণ নাগরিকদের এ ধরনের সরকারি বাসভবন পাওয়ার কোনও সংস্থান নেই সংবিধানে। গোপাল সুব্রহ্মণ্যমের দাবি, "যদি কোনও আইন, প্রাক্তন (সাংবিধানিক) পদাধিকারীদের এমন অনুমোদন দিয়ে থাকে, তাহলে তা সাংবিধানিক পরিধির বাইরে গিয়ে কাজ করছে এবং তা সংবিধানের ১৪ নম্বর ধারার (আইনের চোখে সমানাধিকার)-এর পরিপন্থী"। উল্লেখ্য, চলতি মাসের ১৬ তারিখ মামলাটি আবার সুপ্রিম কোর্টে উঠতে চলেছে।


প্রসঙ্গত, দেশের রাষ্ট্রপতি থাকাকালীন, প্রণব মুখোপাধ্যায়ের টুইটার হ্যান্ডেলের নাম ছিল "@PresidentMukherjee"। কিন্তু বর্তমান রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দের হাতে দায়িত্ব সঁপে রাইসিনা হিলসের রাষ্ট্রপতি ভবন ত্যাগ করার পর, তিনি টুইটার হ্যান্ডেলের নাম বদলে নেন। বর্তমানে টুইটারে তিনি "@CitizenMukherjee" নামেই পরিচিত। অনেকেই বলছেন, সংসদীয় রাজনীতিতে পরিপক্ক প্রণব দেশের সংবিধান ও রীতিনীতি সম্পর্কে অত্যন্ত ওয়াকিবহাল। ফলে, 'প্রাক্তন' হয়ে যাওয়ার পর, নিজেকে 'সিটিজেন' হিসাবে পরিচিত করার এই সিদ্ধান্ত অত্যন্ত সুচিন্তিত বলে তাঁদের দাবি।