নিজস্ব প্রতিবেদন: শুক্রবার লোকসভায় জম্মু-কাশ্মীর সংরক্ষণ আইন ২০০৪ সংশোধনী প্রস্তাব পেশ করেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী অমিত শাহ। এ দিন, তিনি বলেন, পরিস্থিতির কথা বিচার করেই আরও ৬ মাস রাষ্ট্রপতি শাসন কার্যকর করা হবে জম্মু-কাশ্মীরে। এ নিয়ে তীব্র বিরোধিতা করেন বিরোধীরা। কংগ্রেসকে কটাক্ষ করে অমিত শাহের অভিযোগ, ৭০ বছরে ৯৩ বার রাষ্ট্রপতি শাসন জারি হয়েছে সেখানে। তারা এই সরকারে বিরুদ্ধে শ্বাসরোধ করার অভিযোগ তোলে কীভাবে? তাঁর কথায়, গত পাঁচ বছরে জম্মু-কাশ্মীরে সন্ত্রাসবাদ নিয়ে ‘জিরো-টলারেন্স’ ভূমিকা নিয়েছে মোদী সরকার। উপত্যাকায় তরুণ প্রজন্মের মধ্যে ভারত বিরোধী এজেন্ডা ঢুকিয়ে দেওয়ার যে চেষ্টা চলেছে, তা কড়া হাতে দমন করেছে সরকার। অমিত শাহ এ দিন বলেন, রাজনৈতিক ফায়দা পেতে কখনওই ৩৫৬ অনুচ্ছেদ প্রয়োগ করেনি এ সরকার।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING


তবে, জম্মু-কাশ্মীরে নির্বাচন কবে হবে তা জানতে সরব হন বিরোধীরা। এই প্রশ্নে অমিত শাহ জানান, নির্বাচন করাতে বিজেপি সরকার সবসময় প্রস্তুত। কিন্তু নির্বাচন করানো তাদের কাজ নয়। নির্বাচন কমিশন যবে সিদ্ধান্ত নেবে, সেই দিনই নির্বাচন হবে জম্মু-কাশ্মীরে। কাশ্মীরের সমস্যার জন্য অমিত শাহ দায়ী করেন দেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহরুকেই। শাহ বলেন, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সর্দার বল্লভভাই প্যাটেলের উপর কখনওই তিনি ভরসা রাখতে পারেননি। অমিত শাহ জানান, স্বাধীনতার পর যে সব রাজ্য রাজাদের অধীনে ছিল, তা ভারতের অন্তর্ভুক্ত করতে দায়িত্ব বর্তায় সর্দার বল্লভভাই প্যাটেলের উপর। কিন্তু জম্মু-কাশ্মীর বিষয়টি দেখছিলেন খোদ জওহরলাল নেহরু। আর সেখানেই একমাত্র ৩৭০ অনুচ্ছেদ প্রয়োগ করা হয়েছে।


আরও পড়ুন- সকাল ৯টার মধ্যে অফিস না পৌঁছলেই কাটা যাবে মাইনে, নিদান মুখ্যমন্ত্রীর


এক দেশ, এক আইন নিয়ে যখন বিপক্ষ নেতা শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায় জম্মু-কাশ্মীরে যান, সেখানে তাঁকে জেলবন্দি করে তত্কালীন শেখ আবদুল্লা সরকার। জেলের মধ্যেই তাঁর মৃত্যু হয়। এর জন্য কংগ্রেসকেই কাঠগড়ায় দাঁড় করান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। ১৯৩১ সালে ন্যাশনাল কনফারেন্স তৈরি হয়। সেখানে কংগ্রেস নিজেদের প্রভাব বিস্তার না করে ন্যাশনাল কনফারেন্সকে সমর্থন দেয়।  স্বাধীনতার পর থেকেই এই দল জম্মু-কাশ্মীরে ক্ষমতায় ছিল। তাদের প্রশাসনিক কাজে কংগ্রেস কখনওই নাক গলায়নি বলে দাবি অমিত শাহের।


কাশ্মীরি সংস্কৃতি প্রসঙ্গে অমিত শাহ সাফ জানান, ইনসানিয়ত, কাশ্মীরিয়ত এখানে অটুট রয়েছে। কাশ্মীরের সংস্কৃতি রক্ষায় দায়বদ্ধ এ সরকার। তিনি বলেন, “আমরা টুকরো টুকরো দল নই, জম্মু-কাশ্মীরে মানুষের বিরুদ্ধে নই। যারা সন্ত্রাসবাদে মদত দেয়, ভারত বিরোধী ভাবনা পোষণ করে, সরকার তাদের বিরুদ্ধে।”