নিজস্ব প্রতিবেদন : নোট বাতিল ভারতীয় অর্থনীতির পক্ষে লাভজনক হবে না। সেকথা নরেন্দ্র মোদী সরকারকে বারবার জানিয়েছিলেন রিজার্ভ ব্যাঙ্কের প্রাক্তন গভর্নর রঘুরাম রাজন। সম্প্রতি একটি সাক্ষাত্কারে রাজন জানিয়েছেন, বিষয়টি নিয়ে পর্যালোচনার পরই সরকারকে জানিয়ে দেওয়া হয় নোট বাতিল করা মোটেও ঠিক হচ্ছে না।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

২০১৬ সালের ৮ নভেম্বর প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী দেশজুড়ে ৫০০ ও ১০০০ টাকার নোট বাতিলের কথা ঘোষণা করেন। কালো টাকা ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে 'জিহাদ' ঘোষণা করে এই সিদ্ধান্ত বলে সেদিন জানিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী। সিদ্ধান্ত কার্যকর হতেই কয়েক ঘণ্টার মধ্যে দেশজুড়ে হাহাকার শুরু হয়। যদিও, দিন কয়েকের মধ্যে বাজারে আসে নতুন ২,০০০ হাজার টাকার নোট। ২০১৭-র মার্চের মধ্যে পরিস্থিতি অনেকটাই স্বাভাবিক হয়। ততদিনে ২,০০০ টাকার নোটের পাশাপাশি ৫০০ টাকার নোটও বাজারে ছাড়ে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক।


আরও পড়ুন- উন্নাও কাণ্ডে সিবিআই তদন্তের নির্দেশ, সেঙ্গারের বিরুদ্ধে এফআইআর


কিন্তু, ৫ মাসের সেই ভোগান্তি নিয়ে তৃণমূল কংগ্রেস, কংগ্রেস, আপ-সহ একাধিক বিরোধী দল রাস্তায় নেমে বিক্ষোভে সামিল হয়। তাদের দাবি ছিল, নোট বাতিল নিয়ে রিজার্ভ ব্যাঙ্কের কাছেও আগে থেকে কোনও খবর ছিল না। যদিও, বিরোধীদের সেই দাবিকে বিশেষ আমল দিতে নারাজ ছিল মোদী সরকার।


এবার সেই ইস্যুতেই নতুন করে মুখ খুললেন রিজার্ভ ব্যাঙ্কের তত্কালীন গভর্নর রঘুরাম রাজন। তিনি বলেন, নোট বাতিলের পরিকল্পনা আমি আগে থেকে জানতাম না, এমন নয়। কেন্দ্রকে পরামর্শ দিয়েছিলাম, ভারতের মতো অর্থনৈতিক পরিকাঠামোর দেশে এই সিদ্ধান্তের সুফল পেতে অনেক সমস্যা হবে। সেই সঙ্গে সাধারণ মানুষের হাতে হঠাত্ টাকা কমে যাবে। কিন্তু, সেই সময় আমার কথা শোনা হয়নি। ফলে দেশের মানুষ এখন অর্থনৈতিক সংকটের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছেন।


রাজনের কাথায়, নোট বাতিল ইস্যু সঠিক সিদ্ধান্ত ছিল না। পরিকল্পনা ছাড়াই এই কাজ করা হয়েছিল। ভারতের বাজারে চালু মোট অর্থের ৮৭.৫ শতাংশই নোট বাতিলের ফলে তুলে নেওয়া হয়। কিন্তু, সেই সমপরিমাণ নতুন নোট তখন মজুত ছিল না রিজার্ভ ব্যাঙ্কের কাছে। ফলে, অর্থনৈতিক ভারসাম্য রাখতে সমস্যায় পড়তে হয়েছে ব্যাঙ্কগুলিকে। সেই সঙ্গে সমস্যায় পড়েছেন সাধারণ মানুষ।


আরও পড়ুন- উন্নাও গণধর্ষণকাণ্ডে নির্যাতিতার বাবার দেহ সংরক্ষণের নির্দেশ হাইকোর্টের


রিজার্ভ ব্যাঙ্কের প্রাক্তন গভর্নরের কথায়, এই সিদ্ধান্তের ফলে দেশজুড়ে যে সমস্যা তৈরি হয়েছে তা দিনের দিন আরও বাড়বে। ইতিমধ্যেই বহু মানুষ তাদের কাজ হারিয়েছেন। আগামীতে আরও একই সমস্যা দেখা যাবে। তাঁর মোক্ষম প্রশ্ন, নোট বাতিলের ফলে সত্যিই কি সরকারের ঘরে ফিরে এসেছে কালো টাকা?