জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: আবার ধস। আবার মৃত্যু। উত্তরাখণ্ডের চামোলি জেলার থারালি এলাকায় ধস নামার জেরে চারজনের মৃত্যু হয়। থারালি সাব-ডিভিশনাল ম্যাজিস্ট্রেট (এসডিএম) রবীন্দ্র জুয়ানথা বলেছেন, পুলিস ও স্টেট ডিজাস্টার রেসপন্স ফোর্স (এসডিআরএফ)-এর দল উদ্ধারকাজে নেমে পড়েছে। ধসের জেরে একটি পরিবারের পাঁচজনই ধ্বংসস্তূপের নীচে।  খবর পাওয়া মাত্রই হুমরাহ টিম কাজে নেমে পড়ে।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

এই সিজনে উত্তরাখণ্ডে কাশ্মীরে ও হিমাচলে নানা জায়গায় বারবার ধস নেমেছে। প্রচুর ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। প্রাণহানি ও সম্পত্তিহানি ঘটেছে। কখনও হড়পা বান, কখনও অতি বৃষ্টি, কখনও বন্যা-- নানা কারণে ধসের অভিশাপ নেমে এসেছে পাহাড়ি উপত্যকায়। ক'দিন আগে কেদারনাথের পথে হড়পা বান নেমে এসেছিল, ঘটেছিল ধসের ঘটনাও। বিধ্বস্ত হয়েছিল তীর্থযাত্রা।


আরও পড়ুন: দীপাবলিতে মোদীর উপহার, ৭৫ হাজারকে নিয়োগের মধ্যে দিয়ে শুরু রোজগার মেলা


তার আগে ধসে বৃষ্টিতে বিধ্বস্ত হয়েছিল হিমাচলও। কিছু দিন আগেই হিমাচলকে বিপর্যস্ত করে দিয়েছিল বিপুল বৃষ্টি। হঠাৎ-করে-ঘটা বিপুল বৃষ্টিপাতে জলস্তর বেড়ে গিয়েছিল মানালি ও লাহুল উপত্যকার নদী-নালাগুলিতে। অতিরিক্ত সেই জলে প্লাবিত হয়ে গিয়েছিল মানালি। বহু জায়গায় নেমেছিল ধস। বহু জায়গায় রাস্তা বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। পরিস্থিতি বিচার করে প্রশাসনের তরফে জারি হয়েছিল সতর্কতা। হিমাচল জুড়ে বিভিন্ন জায়গায় বহু মানুষ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছিলেন। দুর্গতদের তালিকায় ছিলেন বহু পর্যটকও। জানা গিয়েছিল ১৫০ জনেরও বেশি পর্যটক এই ভাবে বিভিন্ন পয়েন্টে আটকে পড়েছিলেন সেবার। জরুরি ভিত্তিতে উদ্ধারকার্য শুরু হয়েছিল। সাধারণ মানুষ ও আটকে-পড়া পর্যটকদের নিরাপদ স্থানে নিয়ে যাওয়ার কাজ দ্রুত চলেছিল। ভয়াবহ এই প্রাকৃতিক দুর্যোগে ভয়ে বিহ্বল হয়ে পড়েছিলেন স্থানীয় মানুষ এবং পর্যটকদল। কয়েক সপ্তাহের মাথায় তারপর আবার এই বিপর্যয়। সেবারই মানালিতে বিপাশা নদী প্লাবিত হয়ে গিয়েছিল দওয়াদা এলাকায়। নদীর জল উপচে উঠে পড়েছিল রাস্তায়। চণ্ডীগড়-মানালি হাইওয়ের যান পরিবহণ ঘুরিয়ে দেওয়া হয়েছিল কাটৌলা-বাজাউরা সড়কে। কুলু প্রশাসন স্থানীয় বাহাঙ্গ গ্রামের মানুষজনকে নিরাপদে সরিয়ে নিয়ে গিয়েছিল।


(Zee 24 Ghanta App দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির লেটেস্ট খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Zee 24 Ghanta App)