নিজস্ব প্রতিবেদন: আহমেদাবাদে এক সরকারি আবাসনের মধ্যে ভেঙে পড়ল একটি চারতলা বাড়ি। রবিবার শহরের ওধাব এলাকায় ওই বাড়িটি মাটির সঙ্গে মিশে ‌যায়। ধ্বংস্তূপের মধ্যে আটকে পড়েছেন ১০ জন। এখনও প‌র্যন্ত ৪ জনকে উদ্ধার করা হয়েছে।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

উদ্ধারকা‌র্যে নামানো হয়েছে ন্যাশনাশ ডিজাস্টার রেসপন্স ফোর্সের ৫টি দলকে। ধ্বংসস্তুপ ‌যত সরানো হচ্ছে ততই বেরিয়ে আসছে আহত লোকজনের দেহ। উদ্ধারকারী দলের পক্ষ থেকে সংবাদ মাধ্যমকে জানানো হয়েছে, ইতিমধ্যেই জীবিত ব্যক্তিদের খোঁজে নামানো হয়েছে ডগ স্কোয়ার্ড। উদ্ধারের জন্য অত্যাধুনিক সরঞ্জাম ব্যবহার করা হচ্ছে। এছাড়াও ভদোদরায় আরও একটি দলকে তৈরি রাখা হয়েছে।



আরও পড়ুন-অমিত শাহের নিরাপত্তায় খরচ কত, জানাতে অস্বীকার করল কেন্দ্র


রাজ্যের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী পি জাদেজা জানিয়েছেন, ধ্বংস্তুপের মধ্যে চাপাপড়া মানুষজনকে বের করে আনতে পুরসভা, রাজ্য সরকার ও ন্যাশনাল ডিজাস্টার রেসপন্স ফোর্সের লোকজন কাজে নেমে পড়েছেন। উদ্ধারের জন্য প্রয়োজনীর উন্নতমানের ‌যন্ত্রপাতি আনা হচ্ছে।


উল্লেখ, পি জাদেজা আরও জানিয়েছেন, বাড়িটি খালি করে দেওয়ার জন্য শনিবারই নোটিশ দেওয়া হয়েছিল। সেইমতো বাড়ি ছেড়ে দেন ৩০০ জন। কিন্তু কয়েকটি পরিবার বাড়িটির মধ্যে রয়ে গিয়েছিলেন। অন্যদিকে আহমেদাবাদের মেয়র ব্রিজলাল প্যাটেল জানিয়েছেন, ওই ভবনের থাকা ৩২টি পরিবারের মধ্যে ২৯টি পরিবার বাড়ি ছেড়ে চলে ‌যায়। কিন্তু রয়ে গিয়েছিল ৩টি পরিবার।


আরও পড়ুন-মানিকচকে তৃণমূলের গোষ্ঠী সংঘর্ষ, বোমাবাজিতে নিহত ১ , আহত শিশু


অন্যদিকে, ধ্বংস্তূপের মধ্যে থেকে উদ্ধার হওয়া এক বৃদ্ধা সংবাদমাধ্যমে জানিয়েছেন, বাড়িটিতে বড়বড় একাধিক ফাটল থাকা সত্বেও শনিবারই তাকে নোটিশ দেওয়া হয়েছিল। বাড়ি ছাড়ার জন্য তিনি প্যাকিং করেই রেখেছিলেন। পরিকল্পনা ছিল রবিবার ঘর ছাড়বেন। কিন্তু তার আগেই সেটি ভেঙে পড়ল।


প্রশ্ন উঠছে, বাড়িটি অনেক আগে থেকেই ভগ্নপ্রায় হয়ে দাঁড়িয়েছিল। তার পরেও কেন বাড়িটি ছেড়ে দেওয়ার কোনও তাগাদা দেয়নি পুরসভা? ভেঙেপড়ার একদিন আগেই কেন নোটিশ দেওয়া হল।