নিজস্ব প্রতিবেদন- ২৯ শে মার্চ দিল্লির নিজামুদ্দিন মারকাজে প্রায় আড়াই হাজার মুসলিম সম্প্রদায়ের মানুষ জমায়েত করেছিলেন। সেই সময় সারা দেশে করোনার উপদ্রব শুরু হয়েছিল সবে। দিল্লির সেই তাবলিঘি জামাত নিয়ে বিস্তর সমালোচ না শুরু হয়েছিল। দেশের করোনা পরিস্থিতির জন্য তাবলিঘি জামাতকে সম্পূর্ণভাবে দায়ি করেছিলেন কিছু মানুষ। এবার সুপ্রিম কোর্ট জানাল, ওই সময় দেশের সংবাদমাধ্যমের একাংশ সাম্প্রদায়িক হিংসা ছড়াতে শুরু করেছিল।জামাত উলেমায়ে হিন্দ সহ বেশ কয়েকটি সংগঠন সুপ্রিম কোর্টে মামলা করেছিল। তাদের দাবি ছিল, তাবলিঘি জামাতকে কেন্দ্র করে দেশের সংবাদমাধ্যম সাম্প্রদায়িক হিংসা ছড়িয়েছে। সেই মামলার শুনানিতেই সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি এস এ বোবডে জানান, সাম্প্রতিক সময়ে দেশে বাক-স্বাধীনতার অপব্যবহার হচ্ছে বেশি। ফলে ছড়াচ্ছে সাম্প্রদায়িক হিংসা। আর এই উদ্ভুত পরিস্থিতির জন্য দেশের সর্বোচ্চ আদালত উদ্বেগ প্রকাশ করেছে।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

তিনজন বিচারপতির বেঞ্চ এদিন হলফনামা দাখিলের প্রক্রিয়া নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকারকে ভৎসনা করে। সর্বোচ্চ আদালতের তরফে জানানো হয়েছে, কোভিড নিষেধাজ্ঞা লঙ্ঘন করে তাবলিঘি জামাত হয়েছিল ঠিকই। তবে তা নিয়ে একাধিক সংবাদমাধ্যম এমনভাবে রিপোর্ট পেশ করেছে যে তাতে সারা দেশে সাম্প্রদায়িক হিংসা ছড়িয়েছে। সুপ্রিম কোর্ট জানিয়েছে, সংবাদমাধ্যমের একাংশের এই ঘৃণা ছড়ানোর প্রক্রিয়া আগেই রোধ করা উচিত ছিল কেন্দ্রীয় সরকারের। এদিন বিচারপতি জানান, সাম্প্রতিক সময়ে দেশের যে কটি সাংবিধানিক অধিকারের দিক সবথেকে বেশি খর্ব হচ্ছে, তার মধ্যে বাকস্বাধীনতা অন্যতম। যদিও কেন্দ্রের তরফে দাবি করা হয়েছে, তাবলিঘি জামাত নিয়ে সংবাদমাধ্যমের তরফে কোনও ভুল রিপোর্ট পরিবেশন করা হয়নি। আর তারপরই শীর্ষ আদালত কেন্দ্রকে নির্দেশ দিয়েছে, সাম্প্রদায়িক হিংসা ছড়ানোর মতো কোনো রিপোর্ট সেই সময় হয়েছিল কিনা তা খতিয়ে দেখতে! এবং এই নিয়ে যেন দ্রুত সুপ্রিম কোর্টে এফিডেভিট পেশ করা হয়!


২৯ শে মার্চ মালয়েশিয়া, আরবসহ বিশ্বের বহু দেশের তাবলিঘি সদস্যরা দিল্লির মারকাজে জড়ো হয়েছিলেন। এমনকী দেশের বিভিন্ন জায়গা থেকে মুসলিম সম্প্রদায়ের মানুষ মারকাজের সেই জামাতে অংশগ্রহণ করেছিলেন। তারপরই তারা নিজেদের জায়গায় ফিরে আসেন। অনেকেরই অভিযোগ, এই জমায়েতের ফলে সারা দেশে করোনা পরিস্থিতি উদ্বেগজনক হয়ে উঠেছিল। মার্কাজে সেই জমায়েতকে অনেকেই করোনার কেন্দ্রস্থল বলে উল্লেখ করেছিলেন।