ওয়েব ডেস্ক: জুতো পেটা কাণ্ডে সরগরম লোকসভা। ক্ষমা চাইতে নারাজ গায়কোয়াড়। লোকসভায় বিমান পরিবহণ মন্ত্রীকে শিবসেনা সাংসদদের হেনস্থা। মুম্বই থেকে এয়ার ইন্ডিয়ার ফ্লাইট উড়তে না দেওয়ার হুমকি। সংঘাত মেটাতে মধ্যপন্থা খুঁজছে সরকার। শিবসেনার হুমকির জেরে মহারাষ্ট্রের সব বিমানবন্দরে বাড়ল নিরাপত্তা।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING


২৩ মার্চ। এয়ার ইন্ডিয়ার বর্ষীয়ান অফিসারকে ২৫ বার জুতোপেটা করেন রবীন্দ্র গায়কোয়াড়। তারপর থেকে এয়ার ইন্ডিয়া সহ বেশিরভাগ বিমান পরিবহণ সংস্থা গায়কোয়াড়কে এখনও নিষিদ্ধ করে রেখেছে। এমন পরিস্থিতিতে তিনি সংসদে এলে যে হট্টগোল হবে, সেই পূর্বাভাস ছিলই। এদিন ক্ষমা চাওয়া তো দূরের কথা, উল্টে এয়ার ইন্ডিয়া কর্মীদের ফের একহাত নিয়েছেন শিবসেনা সাংসদ। লোকসভায় গায়কোয়াড় বলেন, সংসদের মর্যাদাহানি হওয়ায় তিনি দুঃখিত। কিন্তু এয়ার ইন্ডিয়ার ওই কর্মীর কাছে তিনি ক্ষমা চাইবেন না।



তাঁর ওপর থেকে বিমান পরিবহণ সংস্থাগুলি যাতে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়, সেই দাবিও জানান গায়কোয়াড়।
তুমুল হট্টগোলের মধ্যে গায়কোয়াড়ের পাশে দাঁড়ান তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু অসামরিক বিমান পরিবহণমন্ত্রী পালটা বিবৃতিতে বলেন, বিমানে ওঠার সময় গায়কোয়াড় সাংসদ নন, শুধুই যাত্রী। যাত্রী নিরাপত্তার কারণেই তাঁর দাবি মানা সম্ভব নয়।



বিমান পরিবহণ মন্ত্রীর একথা শুনেই শিবসেনা সাংসদরা তাঁকে ঘিরে ধরেন। টেবিল চাপড়ে শুরু হয় হেনস্থা। স্মৃতি ইরানি, জয়ন্ত সিনহারা রাজুকে ঘেরাওমুক্ত করেন। গায়কোয়াড়ের ওপর থেকে বিমান সংস্থার নিষেধাজ্ঞা না উঠলে, সোমবার প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনে NDA-র ডিনার বয়কট করা হবে।  হুমকি দিয়েছে শিবসেনা।



এখানেই থেমে নেই উদ্ধব ঠাকরের দল।  দিল্লির পরেই দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম অ্যাভিয়েশন হাব মুম্বই। নিষেধাজ্ঞা না তুললে মুম্বই থেকে বিমান উড়তে দেওয়া হবে না বলে হুমকি দিয়েছে শিবসেনা। এরপরই মুম্বই সহ মহারাষ্ট্রের সব বিমান বন্দরের নিরাপত্তা বাড়ানো হয়। ক্ষমা না চাইলে একপক্ষ নিষেধাজ্ঞা তুলতে নারাজ। অন্য পক্ষ ক্ষমা চাইতেই নারাজ। এই পরিস্থিতিতে মধ্যপন্থা খুঁজছে সরকার। শিবসেনা সাংসদদের সঙ্গে বিভিন্ন উড়ান সংস্থার বৈঠক ডাকেন লোকসভার স্পিকার সুমিত্রা মহাজন। সরকারের আশ্বাস, খুব শিগগিরই এই বিবাদ মিটে যাবে। (আরও পড়ুন- মনমোহনী সাহায্যে সংশোধনী ছাড়াই রাজ্যসভায় পাশ জিএসটি )