নিজস্ব প্রতিবেদন: লেফটেন্যান্ট পর্যায়ে ভারত ও চিনের মধ্য়ে টানা বৈঠকের পর পূর্ব লাদাখের গালওয়ান উপত্যকা থেকে সরে যেতে সম্মত হল দুদেশ।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

গতকাল অর্থাত্ সোমবার দুদেশের সেনা পর্যায়ে প্রায় ১১ ঘণ্টা বৈঠক হয়।  মঙ্গলবার সেনার পক্ষ থেকে এক বিবৃতিতে বলা হয়, সোমবারের বৈঠক বেশ আন্তরিক ও ইতিবাচক হয়েছে। তার পরেই পূর্ব লাদাখের সব বিতর্কিত জায়গা থেকে সরে যাওয়ার ব্যাপারে ঐক্যমতে পৌঁছায় দুদেশ। ওইসব এলাকার নিয়ে .তৈরি হওয়া সমস্যা নিয়ে কথাও বলা হবে।


আরও পড়ুন-স্ত্রীকে খুনের ছক থেকে শাশুড়ি-শ্বশুরের প্রতি আক্রোশ! ৫০ পাতার সুইসাইড নোটে মিলল চাঞ্চল্যকর তথ্য


উল্লেখ্য, আজই লাদাখে গিয়ে সেখানকার বর্তমান পরিস্থিতি পর্যালোচনা করেছেন সেনা প্রধান মনোজ মুকুন্দ নারাভানে। কারণ শান্তি ফিরিয়ে আনার কথা চললেও দুপক্ষই গালওয়ানে প্রায় তৈরি হয়েই ছিল। বয়া ছিল স্টান্ড অফ। অর্থাত্ মুখোমুখী দাঁড়িয়ে ছিল দুদেশের সেনা।


সংবাদমাধ্য়মের খবর গালওয়ানে ১৫ জুনের সংঘর্ষের পর দুপক্ষের এক হাজার সেনা মোতায়েন রয়েছে গালওয়ানে। এদিন সেনাপ্রধান লেহ-তে সেনা হাসপাতালে সোমবারের সংঘর্ষে আহত সেনাদের সঙ্গে দেখা করে তাদের সঙ্গে কথা বলেন।


সোমবার চিনের মলদোতে চিনা সেনা আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠকে ভারতের তরফে ছিলেন লেফটেন্যান্ট জেনারেল হরিন্দর সিং। তিনিই ১৪ নম্বর কর্পের কমান্ডার। চিনের তরফে ছিলেন তিব্বত মিলিটার ডিস্ট্রিক্টের কমান্ডার লিউ লি।


প্রসঙ্গত, গত ১৫ জুন রাতে একটি চিনা তাঁবু সরানোকে কেন্দ্র করে দুপক্ষের মধ্যে প্রবল সংঘর্ষ শুরু হয়ে যায়। তিন দফায় টানা পাঁচ ঘণ্টার লড়াইয়ে শহিদ হন ২০ জওয়ান। চিন এখনও পর্যন্ত জানিয়েছেন তাদের এক কর্ণেল ওই সংঘর্ষে নিহত হয়েছেন। কিন্তু তাদের কত সেনার মৃত্যু হয়েছে তা তারা স্পষ্ট করেনি। ভারতের দাবি কমপক্ষে ৪০ জন চিনা সেনা সেদিন নিহত কিংবা আহত হয়েছেন।


আরও পড়ুন-করোনায় 'সাবধানী' জগন্নাথও, মাসির বাড়ি গেলেন কখনও মারুতি কখনও এসি গাড়িতে


গত ৬ জুন দুদেশের কমান্ডার পর্যায়ে আলোচনায় গালওয়ান থেকে চিন সরে যাবে এমনটাই ঠিক হয়। কিন্তু ৯ দিনের মধ্যে ভয়ঙ্কর ঘটনা ঘটিয়ে ফেলে চিনা সেনা। ভারতীয় বিদেশ মন্ত্রকের দাবি, চিনের হামলা পূর্ব পরিকল্পিত। ওই ঘটনার পর থেকে ভারত দাবি করে আসছিল গালওয়ান থেকে সরতে হবে চিনকে।