নিজস্ব প্রতিবেদন- প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা (LAC) বরাবর গোলাগুলি চলবে না। এমনই চুক্তি হয়েছিল ভারত-চিনের মধ্যে। সেদিন গোলাগুলি চলেনি বটে! তার বদলে আরও ভয়াবহ ষড়যন্ত্র করে রেখেছিল চিনা সেনা। ২০২০-র জুন মাসে লাদাখের গালওয়ান উপত্যকা দিয়ে ভারতীয় ভূখণ্ডে ঢোকার চেষ্টা করেছিল PLA. চিনা সেনার অনুপ্রবেশের চেষ্টায় বাধা দেয় ভারতীয় সেনার (Indian Army) জওয়ানরা। সেদিন বৈঠকের নামে ভারতীয় সেনার উপর কাপুরুষোচিত হামলা করেছিল চিনা সেনা। পেরেক লাগানো অদ্ভুত অস্ত্র দিয়ে ভারতীয় জওয়ানদের উপর হামলা চালায় তাঁরা। শহিদ হন ভারতীয় সেনার ২০ জন জওয়ান।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

চিনা সেনা সেদিন ভারতের মাটি ছুঁতে পারেনি। ভারতের বীর সৈনিকরা নিজেদের জীবন বাজি রেখে সেদিন দেশের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করেছিলেন। সেই ২০ জন জওয়ানকে মরণোত্তর সম্মানে ভূষিত করবে করা হবে। প্রজাতন্ত্র দিবসে সেই বীর সৈনিকদের পরিবারের সদস্যদের হাতে সাহসিকতার পুরষ্কার তুলে দেওয়া হবে। বীর চক্র, পরমবীর চক্র, মহাবীর চক্র সম্মানে ভূষিত করা হবে দেশের জন্য আত্মবলিদান দেওয়া সেনাদের। রাতের অন্ধকারে চিনা সেনার বর্বরতার শিকার হয়েছিলেন সেই ২০ জন জওয়ান। সেই রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের পর এখনও লাদাখে শান্তি ফিরে আসেনি। 


আরও পড়ুন-  সুপ্রিম কোর্টের মাধ্যমে কমিটিকে মধ্যস্থতাকারী করেছে কেন্দ্র, অভিযোগ কৃষকদের


গত কুড়ি বছরে ভারত ও চিনা সেনার মধ্য়ে এমন ভয়াবহ সম্মুখসমর লড়াই হয়নি। সেদিন প্রাণ হারানো কর্ণেল সন্তোষ বাবু সহ বাকি সেনা জওয়ানদের পরিবারের সদস্যদের প্রজানতন্ত্র দিবসে আমন্ত্রণ জানানো হবে। করোনার জন্য এবারের প্রজাতন্ত্র দিবস তেমন জাঁকজমকপূর্ণভাবে পালন করা হবে না। তবুও এমন বিশেষ দিনে মহড়ার মাঝে গালওয়ান উপত্যকায় শহিদ জওয়ানদের মরণোত্তর সম্মানে ভূষিত করা হবে। উল্লেখ্য, পূর্ব লাদাখের পোস্ট ১২০ তে ‘গ্যালেন্ট অফ গালওয়ান’ শৌধ স্থাপন করেছে ভারতীয় সেনা। সেই শৌধে শহিদ সেনাদের বীরত্বের কথা সোনালি হরফে লেখা রয়েছে।