সুপ্রিম কোর্টের মাধ্যমে কমিটিকে মধ্যস্থতাকারী করেছে কেন্দ্র, অভিযোগ কৃষকদের
দেশজুড়ে আন্দোলনের ডাক দিয়েছে পঞ্জাবের কৃষক সংগঠনগুলি।
নিজস্ব প্রতিবেদন: বিতর্কিত ৩টি কৃষি আইন স্থগিত করে একটি বিশেষ কমিটি গড়ার নির্দেশ দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court)। নির্দেশের প্রথম অংশ নিয়ে খুশি হলেও দ্বিতীয়টায় অসন্তুষ্ট বিক্ষোভকারী কৃষকরা। কৃষক সংগঠনগুলি জানিয়ে দিয়েছে, কোনও আলোচনায় রাজি নয় তারা। কৃষি আইনের পক্ষে থাকা ব্যক্তিদেরই রাখা হয়েছে কমিটিতে। সুপ্রিম কোর্টের মাধ্যমে সরকারই কমিটিকে এনেছে বলে অভিযোগ কৃষকদের।
দেশজুড়ে আন্দোলনের ডাক দিয়েছে পঞ্জাবের কৃষক সংগঠনগুলি। তাদের বক্তব্য,'কমিটির নির্দেশ মানছি না। কমিটির সব সদস্যই তো সরকারপক্ষের। তাঁরাই তো আইনের পক্ষে সওয়াল করেছেন।' তাদের অভিযোগ, সুপ্রিম কোর্টের মাধ্যমে কমিটিকে মধ্যস্থতাকারী করতে চেয়েছে সরকার। এটা গোটা বিষয়টিকে বিপথগামী করার চেষ্টা। কমিটির সদস্যদের বদলানো হলেও আলোচনায় তাঁরা বসবেন না বলেও জানিয়ে দিয়েছে কৃষক সংগঠনগুলি। তাদের অভিমত, 'কৃষি আইন স্থগিত করার সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানাচ্ছি। তবে আইন প্রত্যাহার ছাড়া আর কোনও দাবি নেই আমাদের।'
২৬ জানুয়ারি দিল্লিতে টাক্টর মার্চ করার কথা আগেই ঘোষণা করেছিলেন কৃষকরা। সুপ্রিম কোর্টের স্থগিতাদেশ নির্দেশের পরেও সেই ঘোষণা থেকে সরছেন না তাঁরা। কৃষক সংগঠনগুলি জানিয়েছে,'শান্তিপূর্ণভাবে প্রজাতন্ত্র দিবসে মার্চ করব আমরা। লালকেল্লা বা সংসদের উদ্দেশে যাত্রা করার জল্পনা ছড়ানো হচ্ছে। সেদিনের কর্মসূচি ঠিক করা হবে ১৫ জানুয়ারি। কোনও ধরনের হিংসার পক্ষে নই আমরা।' তবে কৃষক মার্চ নিয়ে ইতিমধ্যেই আশঙ্কা প্রকাশ করেছে কেন্দ্র। তাদের মতে, প্রজাতন্ত্র দিবসে বিক্ষোভ হলে দেশের জন্যে অস্বস্তিকর।
কৃষকদের সঙ্গে এখনও পর্যন্ত মোট ৮ দফা বৈঠক হয়েছে কেন্দ্রীয় সরকারের। কিন্তু সমাধান এখনও অধরা। আইন প্রত্যাহারের দাবিতেই অনড় কৃষকরা। এ দিন ৩টি কৃষি স্থগিত করে কমিটি গঠনের নির্দেশ দিয়েছে শীর্ষ আদালত। বিচারপতিদের বেঞ্চ জানিয়েছে, 'এটা রাজনীতি নয়। রাজনীতি ও বিচার ব্যবস্থার ফারাক আছে। সকলের সহযোগিতাই কাম্য।'
আরও পড়ুন- 'রাজনীতি নয়, চাই সহযোগিতা', কৃষি আইন পর্যালোচনায় কমিটি গঠন সুপ্রিম কোর্টের