হায়দরাবাদে পশু চিকিৎসককে গণধর্ষণের পর পুড়িয়ে খুন, ফুটপাথে মিলল দেহ
বুধবার হায়দরাবাদে এক পশু চিকিত্সককে গণধর্ষণের পর পুড়িয়ে খুনের অভিযোগ উঠল একদল দুষ্কৃতীর বিরুদ্ধে। ঘটনায় সিসিটিভি সূত্র ধরে ইতিমধ্যেই গ্রেফতার করা হয়েছে এক ট্রাকচালক, দুই খালাসিসহ ৪ অভিযুক্ত।
নিজস্ব প্রতিবেদন: দিল্লির পর এবার হায়দরাবাদ। বুধবার এক পশু চিকিত্সককে গণধর্ষণের পর পুড়িয়ে খুনের অভিযোগ উঠল একদল দুষ্কৃতীর বিরুদ্ধে। ঘটনায় সিসিটিভি সূত্র ধরে ইতিমধ্যেই গ্রেফতার করা হয়েছে এক ট্রাকচালক, দুই খালাসিসহ ৪ অভিযুক্ত। জানা গিয়েছে, গত বুধবার দুপুরে বাড়ি থেকে হায়দরাবাদের কোল্লুরু গ্রামে যান পশু হাসপাতালে ওই তরুণী পশুচিকিত্সক।
সূত্রের খবর, এদিন বাড়ি ফেরার সময় রাত ৯টা নাগাদ সামশাবাদের তন্দুপল্লি টোল প্লাজার কাছে তাঁর স্কুটির টায়ার ফেটে যায়। বিষয়টি ফোনে বোনকে জানান ওই তরুণী। বোনকে তিনি ফোনে বলেন, "আমার স্কুটির টায়ার ফেটে গেছে। একটা টায়ার সারানোর দোকানে নিয়ে এসেছি। পাশে দুই ট্রাকচালক ঘুরঘুর করছে। আমার খুব ভয় করছে।" ফোনে তাঁর বোন তাঁকে স্কুটি ছেড়ে টোল প্লাজার কাছে গিয়ে ক্যাব ধরে বাড়ি চলে আসার পরামর্শ দেয়।
আরও পড়ুন: অর্থনীতি ঝিমোচ্ছে, ঝিমোচ্ছেন মন্ত্রীরা, বিজেপি সাংসদের ঘুম নিয়ে মসকরা সোশ্যাল মিডিয়ায়
রাত এগারোটা নাগাদ ফের বাড়ি থেকে দিদিকে ফোন করেন বোন। তখন তাঁর ফোন সুইচড অফ। তারপরেই নিখোঁজ ডায়েরি করে পরিবার। বৃহস্পতিবার ওই টোল প্লাজার প্রায় ২৫ কিলোমিটার দূরে শাদনগরে চাতানপল্লি সেতুর কাছে তরুণী চিকিত্সকের পোড়া দেহ উদ্ধার হয়। সম্পূর্ণ পুড়ে যাওয়া স্কার্ফ ও মৃতার গলায় গণেশের লকেট দেখে শনাক্ত করেন আত্মীয়-স্বজনেরা। তবে, তাঁর পার্স ও মোবাইলের খোঁজ মেলেনি।তদন্তে নেমে ওই টোল প্লাজার কাছ থেকে মৃতার জুতো, জামাকাপড় ও একটি মদের বোতল উদ্ধার করে সাইবারাবাদ পুলিস। পুলিসের অনুমান, গণধর্ষণের পর তাঁকে পুড়িয়ে দেওয়া হয়।
এখানেই শেষ নয়, বোনকে ফোন করার আগে কেন একশো নম্বরে ডায়াল করেননি ওই তরুণী? এই প্রশ্ন তুলে বিতর্ক উসকে দিয়েছেন তেলেঙ্গানার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মহম্মদ মাহমুদ আলি। গোটা ঘটনায় ফের নারীদের নিরাপত্তা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন। ঘটনায় তোলপাড় গোটা দেশ।