আমরণ অনশনের হুমকি কেজরিওয়ালের, তিরস্কারে মুখ্যমন্ত্রীকে বিঁধলেন গম্ভীর
আইনি লড়াইয়ে পেরে ওঠেননি। কিন্তু হাল ছাড়তে নারাজ কেজরি। এবার তাই আমরণ অনশনের ডাক।
নিজস্ব প্রতিবেদন : তাঁর দাবি, ৭০ বছর ধরে বঞ্চনার শিকার দিল্লিবাসী। কেন্দ্রের সরকার দিল্লিবাসীদের ঠকিয়েছেন। এমনটাও দাবি করেছিলেন তিনি। তবে বিরোধী পক্ষ বলতে শুরু করেছিল, এসবই মোদী সরকারকে রাখার চেষ্টা! তবুও লড়াই বাঁচিয়ে রাখতে শেষমেশ সংসদে দাঁড়িয়ে বড়সড় সিদ্ধান্তের কথা ঘোষণা করে বসেছিলেন আম আদমি পার্টির সুপ্রিমো অরবিন্দ কেজরিওয়াল। পূর্ণ রাজ্যের মর্যাদা দিতে হবে দিল্লিকে। এই দাবিতে তিনি আমরণ অনশনে বসবেন বলে হুঙ্কার ছেড়ে রাখলেন। আগামী ১লা মার্চ থেকে শুরু হবে তাঁর আমরণ অনশন।
আরও পড়ুন- এয়ার ইন্ডিয়ার বিমান অপহরণ করে পাকিস্তানে নিয়ে যাওয়ার হুমকি!
দিল্লির ঘরে ঘরে গিয়ে মোদী সরকারের বিরুদ্ধে প্রচারের ডাক দিয়েছিলেন কেজরিওয়াল। তাঁর দলের কর্মীরা সেই লক্ষ্যে রাস্তাতেও নেমেছেন। কেজরিওয়ালের দাবি, দিল্লিতে গণতন্ত্র বলে কিছু নেই। জনগণের ভোটে সরকার নির্বাচন হয়েছে ঠিকই। কিন্তু সরকার তার ভূমিকা পালন করতে পারছে না। রাজ্য প্রশাসনের কাজে উপ-রাজ্যপালের হস্তক্ষেপ রয়েছে। এমনই অভিযোগ বারবার তুলেছেন কেজরিওয়াল৷ একদিন আগেই প্রধানমন্ত্রীকে উদ্দেশ্য করে কেজরিওয়াল টুইটে লিখেছিলেন, ''স্যর, আপনি কথা দিয়েছিলেন দিল্লিকে পূর্ণ রাজ্যের তকমা দেবেন। এবার কথা রাখার সময় এসেছে। ৭০ বছর ধরে দিল্লিবাসীকে বঞ্চিত করে রাখা হয়েছে।''
আরও পড়ুন- পুলওয়ামা ঘটনায় আক্রোশে ফুটছে দেশবাসী, শহিদ জওয়ানদের স্মরণে মোদীর ‘মন কি বাত’
আইনি লড়াইয়ে পেরে ওঠেননি। কিন্তু হাল ছাড়তে নারাজ কেজরি। এবার তাই আমরণ অনশনের ডাক। তবে তাঁর এমন ঘোষণা পরই সরব হলেন ভারতের প্রাক্তন ক্রিকেটার গৌতম গম্ভীর। স্বভাবসিদ্ধ ভঙ্গিতে তিনি বিঁধলেন কেজরিকে। টুইটে লিখলেন, ''দুই কোটির বেশি মানুষ রয়েছেন দিল্লিতে। হাজারো সমস্যা। এদিকে, কেমন অসাধারণ সমাধান বের করেছেন। আবার একটা মুখ্যমন্ত্রী স্পেশাল ধর্না। লজ্জা!''