Punjab: সমপ্রেমী সিরিয়াল কিলারের ভয়ে ত্রস্ত হাইওয়ে! অব তক ১১...
Punjab | Gay Killer: সবকিছুর শুরু ছোট্ট থেকেই। রাম স্বরূপ যিনি সোধী নামেও নিজেকে পরিচয় দিয়ে থাকেন। তিনি ছোট থেকেই মেয়েদের মতন পোশাক পড়তে বা মেকআপ করতে ভালোবাসে। যার ফলে ছোট থেকেই তাঁর পরিবার নানানভাবে হেনস্থা করে।
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: এখনও পর্যন্ত ১১ জনকে খুন করেছেন তিনি। তাও আবার বছর শেষ হতে হতেই। একের পর এক রাতের হাইওয়ে পরিণত হল মৃত্যুর হাইওয়েতে। ৩৩ বছর বয়সি রাম স্বরূপ। তিনি হোশিয়ারপুরের গড়শঙ্করের চাউরা গ্রামের বাসিন্দা।
আরও পড়ুন: Manmohan Singh Demise: 'শ্রেষ্ঠ চ্যাম্পিয়ন'! মনমোহন প্রয়াণে গোটা বিশ্বে শোকের ছায়া...
রাতের অন্ধকারে হাইওয়তে লাস্যময়ী নারীর রূপ গাড়ি চালান তিনি। পথে যেতে যেতে অপেক্ষা করতেন শিকারের। সুন্দর করে লিফট দেওয়ার নাম করে গাড়িতে তুলে পড়ে ছলে-বলে-কৌশলে তাদের সঙ্গে সম্পর্কে জড়াত সে। অনেক সময় যৌন সম্পর্কেও লিপ্ত হত। ফ্রিতে নয় সেই যৌন সম্পর্কের প্রতিদানে তিনি কিছু পারিশ্রমিকও চাইতেন।
সবকিছুর শুরু ছোট্ট থেকেই। রাম স্বরূপ যিনি সোধী নামেও নিজেকে পরিচয় দিয়ে থাকেন। তিনি ছোট থেকেই মেয়েদের মতন পোশাক পড়তে বা মেকআপ করতে ভালোবাসে। যার ফলে ছোট থেকেই তাঁর পরিবার নানানভাবে হেনস্থা করে। আর সেই ট্রমা থেকেই হিংসা জন্মায় তাঁর মনে। ২০০৫ সালে মাত্র ২২ বছর বয়সে সে সব ছেড়ে দুবাই পালিয়ে যায়। যেখানে তার সমপ্রেমী হওয়ার পরিচয় আরও হাওয়া পাই।
ছোট থেকে প্রচুর খারাপ মুহূর্ত ধীরেধীরে সোধীকে হিংস্র করে তুলেছিল। মনে জমিয়েছিল প্রচুর কষ্ট ও ক্ষোভ। সেখান থেকেই সে শুরু করে খুন। পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, সোধী খুন করত কেবল সেই সমস্ত মানুষদের যারা প্রচণ্ড পরিমাণে তাঁকে কষ্ট দিত বা অশালীল কথা বলত। ২০২৪-এর শুরুতেই তার প্রথম খুন। হারপিত সিংহ নামে একজন অবসরপ্রাপ্ত আর্মি ম্যান। কথা হয়েছিল যে টাকায় সে টাকা ওই লোকটি দেননি।
আরও পড়ুন: Manmohan Singh: নীরব বিপ্লব ঠিক কেমন, এক জীবনে করে দেখিয়েছেন মনমোহন!
এই করে ১১ জনকে খুন করে ১৮ মাসের মধ্যে। গত আগস্ট মাসে ৩৭ বছর বয়সি এক টোল প্লাজা কর্মীর খুনের ঘটনার তদন্তে গ্রেফতার করা হয়েছিল রাম স্বরূপকে। সেই তদন্তের সময়ই জেরায় রাম জানায়, আরও ১০ জনকে খুন করেছে সে। ১১ জনের মধ্যে বেশিরভাগকেই গলা টিপে শ্বাসরোধ করে খুন করেছে সরূপ। বাকি কয়েকজনের মাথায় আঘাত পেয়ে মৃত্যু হয়েছে। মৃতদের সকলে রূপনগর, হোশিয়ারপুর এবং ফতেগড় জেলার বাসিন্দা। খুন করার পর নিজের মাফলার ফেলে চলে আসে সে। সেই সূত্র ধরেই পুলিস ধরে। কীভাবে ধরা পরত না এর উত্তরে পুলিস জানায়, খুনের পর মহিলার রূপেই বেড়িয়ে আসত। আরও একটি চাঞ্চল্যকর তথ্য জানতে পেরেছে পুলিশ। তদন্তে উঠে এসেছে, খুনের আগে চরম নেশা করত সে এবং খুন করার পর সকল মৃতদেহের পা ছুঁয়ে ক্ষমা চাইত!