নিজস্ব প্রতিবেদন : 'পাঁচ তারা সংস্কৃতি', আর এটাই ভোটে কংগ্রেসের হারের অন্যতম কারণ। তাঁর কথায়, যতদিন পর্যন্ত কংগ্রেসের অভ্যন্তরে নির্বাচন নয়, মনোনয়নের মাধ্যমে পদাধিকারীদের বেছে নেওয়া হবে, ততদিন এ জিনিস চলবে। কারণ তাঁরা একদম নিচুতলার কর্মীদের সঙ্গে সংযোগেই করে উঠতে পারেন না। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

উল্লেখ্য, বিহার ভোটে কংগ্রেসের হারের পর দলীয় নীতি সংক্রান্ত বিষয়ে তোপ দেগেছেন কপিল সিব্বল। এবার দলীয় নেতৃত্বের একাংশের প্রতি আঙুল তুললেন বর্ষীয়ান কংগ্রেস নেতা গুলাম নবি আজাদ। চাঁছাছোলা ভাষায় তিনি বলেন, "আমাদের নেতাদের মূল সমস্যাটা হচ্ছে, যদি কেউ দলের হয়ে টিকিট পেয়ে যান, তারপরই প্রথমে তাঁরা একটা পাঁচ তারা হোটেল বুক করেন। এমনকি সেখানে তাঁরা ডিলাক্স জায়গা খোঁজেন। তারপর তাঁরা এসি লাগানো গাড়ি ছাড়া আর ঘুরবেন না। ভাঙাচোরা, খারাপ রাস্তা যেখানে আছে, সেখানে তাঁরা তখন আর যাবেন না। কিন্তু নির্বাচন পাঁচ তারা হোটেল থেকে লড়া যায় না। যতদিন না এই স্বভাব-সংস্কৃতির পরিবর্তন হচ্ছে, ততদিন আমরা জিততে পারব না।" 


ভোটে হারের জন্য স্থানীয় নেতৃত্বকেই দায়ী করেছেন আজাদ। তাঁর বক্তব্য, জেলাস্তরে বা ব্লকস্তরে, "স্থানীয়ভাবে যেসকল নেতারা মনোনয়নের মাধ্যমে বিভিন্ন পদে বসেন, তাঁদের সঙ্গে মানুষের কোনও যোগ নেই। তাঁরা মানুষের সঙ্গে যোগ হারিয়ে ফেলেছেন। কেউ একটা পদ পেয়ে যাওয়ার পরই তড়িঘড়ি নিজেদের নাম লেটার প্য়াড, ভিজিটিং কার্ড ছাপাতে ব্যস্ত হয়ে পড়েন। তাঁরা ভাবেন, তাঁদের কাজ হয়ে গিয়েছে। কিন্তু আসলে এখান থেকেই তাঁদের আসল কাজ শুরু হয়।"  


সংবাদ সংস্থা এএনআইকে দেওয়া এক সাক্ষাত্কারে ভোটে হারের পিছনে পুরো দায়টাই গুলাম নবি আজাদ চাপিয়েছেন স্থানীয় নেতৃত্বের উপর। সোনিয়া গান্ধীকে দরাজ সার্টিফিকেট দিয়ে তাঁর দাবি, শীর্ষ নেতৃত্ব কোনও ভুল করেনি।


আরও পড়ুন, ভয় পাওয়াচ্ছে দিল্লি, সক্রিয় করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ল দেশে