নিজস্ব প্রতিবেদন: ছোট মেয়েটা হয়তো সংঘর্ষ বোঝেনা, বোঝেনা যুদ্ধ। যে বয়সে বাবাকে সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন তখনই বাবার সান্নিধ্য হারালো সে। তবু শহিদ কর্নেল বাবা সন্তোষ বাবুর ছবির সামনে হাত জোড় করে দাঁড়িয়ে আছে সে। কে জানে কী ভাবছে!
ভারত-চিন সংঘর্ষে লাদাখে শহিদ হয়েছেন কর্নেল সন্তোষ বাবু। নিজের একমাত্র ছেলেকে হারিয়ে দু:খ পেলেও মা মন্জুলা বলেছেন,দেশের জন্য শহিদ হয়েছে ও। আমি গর্বিত। কিন্তু একরত্তি মেয়ে কি ঠিক করে বোঝে শহিদ শব্দবন্ধের গভীর অর্থ। সে শুধু বোঝে বাবা আর ফিরবে না। ওর মা হয়তো বলবে তোর বাবা যোদ্ধা ছিল দেশের জন্য প্রাণ দিয়েছে। কিন্তু বাবার অভাব অপূর্ণই থেকে যাবে।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন: বিশ্বাস শান্তিতে, কড়া জবাব দেওয়ারও ক্ষমতা রাখে ভারত, বেজিংকে পাল্টা বার্তা মোদীর


কর্নেলের বাবা উপেন্দ্র বাবু জানিয়েছেন তাঁর সেনায় যোগ দেওয়ার ইচ্ছা ছিল। তা হয়নি তাই ছেলেকে পাঠিয়েছেন।
সহানুভূতির জোয়ার অনেক আসবে, আসবে পাশে থাকার বার্তাও। কিন্তু বাবার হাত ধরে আর হাঁটা হবে না মেয়ের। বাবা বলে আর ডেকে উঠলে সাড়া দেওয়ার লোক নেই। প্রায় প্রত্যেক মেয়ের চোখেই তার বাবা সুপারম্যান। দেশের জন্য শহিদ বাবার জন্য বড় হলে গর্বে বুক ভরে উঠবে মেয়েটির। কিন্তু একরত্তি মেয়ে আজ হয়তো বাবার ছবির সামনে হাতজোড় করে আরও একবার চোখের সামনে বাবার সঙ্গে কাটানো মুহুর্ত গুলোর ঝলকানি দেখতে পাচ্ছে। আর এই ছবি দেখে কাঁদছে গোটা দেশ। আর মনে মনে বলছে ভগবান ওকে লড়ার শক্তি দিও।