ওয়েব ডেস্ক: ওনারা আমার কথা শোনেননি। উল্টে ছেলেদের শৌচাগারে পাঠিয়ে দিয়েছিলেন। বছর এগারোর এক ছাত্রী এমনই গুরুতর অভিযোগ আনল শিক্ষকদের বিরুদ্ধে। কিন্তু অপরাধটা কী? সেদিন স্কুল ইউনিফর্ম পড়ে আসেনি সে। ইউনিফর্ম ভিজে থাকায় স্কুলে অন্য জামা পরে যেতে হয়েছিল। আর সেখানেই ঘটেছিল বিপত্তি!


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

হায়দরাবাদের একটি বেসরকারি স্কুলে ঘটনাটি ঘটে। পঞ্চম শ্রেণির ওই ছাত্রীর কথায়, “ক্লাসরুমে যাওয়ার সময় পিটি টিচার আমাকে  অন্য ড্রেসে দেখে বকতে শুরু করেন। তাঁকে বলি আমার ডায়েরিটা দেখতে। তা তিনি শোনেননি। ” এরপর ছাত্রীর আরও অভিযোগ, “তাঁরা আমার উপর চিত্কার শুরু করে দেন। পিটি টিচারের সঙ্গে ইংরেজি ও তেলেগু শিক্ষকও ছিলেন সেখানে। তাঁদের বকাবকিতে আমি ভীষণ ভয় পেয়ে গিয়েছিলাম। কেন অন্য পোশাক পরে স্কুলে এসেছি? বারবার প্রশ্ন করেন তাঁরা। ভয়ে কিছু বলতে পারিনি। তখনই ছেলেদের বাথরুমে ভিতর দাঁড় করিয়ে দেন আমাকে। সব ছাত্ররা আমার দিকে তাকিয়ে ছিল।” মেয়ের এই পুরো বয়ান ভিডিও করেছেন তার বাবা।


বেশ কিছুক্ষণ বাথরুমে থাকার পর ক্লাসে ফিরে আসে ছাত্রীটি। এরপর ক্লাসে সমাজ বিজ্ঞানের শিক্ষক  আসতেই পুরো ঘটনা তাঁকে জানায় মেয়েটি। পাশপাশি এও বলে, সে আজ কেন  ইউনিফর্ম পরে আসেনি, তা স্কুল ডায়েরিতে মা লিখে দিয়েছিলেন।


এই ঘটনার পর ছাত্রীটি জানিয়ে দেয়, সে আর স্কুল যেতে চায় না। পরিবারের তরফে জানানো হয়েছে, এমন হেনস্তায় মানসিক অবসাদে ভুগছে তাঁদের মেয়ে।


ঘটনার বিবরণ দিয়ে শিশু অধিকার সংগঠনে অভিযোগ জানিয়েছেন ছাত্রীর বাবা। ওই স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের কর্মী অচ্যুত্ রাও জানিয়েছেন, এক্ষেত্রে শিশুদের বিরুদ্ধে যৌন প্রতিরোধ আইন (পসকো) লঙ্ঘিত হয়েছে। স্কুল এবং ওই শিক্ষকদের বিরুদ্ধে অপরাধমূলক কার্যকলাপের অভিযোগ আনা হবে বলে দাবি করেছেন তিনি। এমনকি, মানবাধিকার কমিশনেও অভিযোগ জানানো হবে পরিবারের তরফে, এমনটাই জানা যাচ্ছে।