নিজস্ব প্রতিবেদন: সোশ্যাল মিডিয়া ছেড়ে দেওয়া চিন্তাভাবনা করছেন প্রধানমন্ত্রী। সোমবার সন্ধেয় টুইট করে দেশবাসীকে চমকে দিয়েছেন নমো। এনিয়ে প্রধানমন্ত্রীকে পাল্টা বিঁধলেন প্রাক্তন কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধী।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন-নয়া হোমটাস্ক 'বাংলার গর্ব মমতা', টিকিট পেতে আজ থেকেই 'খাতাবই' খুলে বসলেন বিধায়করা


প্রধানমন্ত্রী টুইট করে তাঁর ইচ্ছের কথা জানানোর পরই রাহুল টুইট করেন, ‘সোশ্যাল মিডিয়া নয়, ঘৃণা ছাড়ুন।‘ পাশাপাশি, প্রধানমন্ত্রীকে নিশানা করেন কংগ্রেস নেতা রণদীপ সুরজেওয়ালাও। তিনি টুইট করেন, প্রিয় মোদীজি, আপনার ট্রোল আর্মিকে ওই উপদেশ দিন। আপনার হয়ে ওরা সবাইকে প্রতি সেকেন্ডে গালিগালাজ করে।




টুইট করেন অলকা লাম্বাও। দিল্লির এই এই কংগ্রেস নেতার উক্তি, যাক বাঁচলাম।  ডিজিটাল ইন্ডিয়ায় প্রধানমন্ত্রী কেন সোশ্যাল মিডিয়া ছাড়ার চেষ্টা করছেন, প্রশ্ন তোলেন জিগনেশ মেওয়ানিও।


উল্লেখ্য, সোমবার নটা নাগাদ প্রধানমন্ত্রী টুইট করেন, ‘’ভাবছিলাম এই রবিবার ফেসবুক, টুইটার, ইউটিউব, ইনস্টাগ্রামের মতো সোশ্যাল মিডিয়া থেকে সরে যাব। পরে পোস্ট করে জানাব।‘’


দেশের যেকোনও ঘটনাই হোক, দেশে থাকুন বা বিদেশে টুইট করে দেশের মানুষের সঙ্গে যোগাযোগ রাখেন প্রধানমন্ত্রী। দেশ, বিদেশের বড় ঘটনা তো বটেই বিখ্যাত কারও জন্মদিনেও শুভেচ্ছা জানাতে সোশ্যাল মিডিয়ার আশ্রয় নেন নমো। সেই সোশ্যাল মিডিয়া ছেড়ে দিচ্ছেন মোদী! দিনক্ষণও ঠিক করে ফেলেছেন। এনিয়ে জল্পনা তৈরি হয়েছে রাজনৈতিক মহলে।


প্রধানমন্ত্রী কেন সোশ্যাল মিডিয়া ছেড়ে দিচ্ছেন তার কোনও ব্যাখা দেওয়া হয়নি। তাঁর যে সংখ্যক ফলোয়ার তা বিশ্বের যেকোনও নেতার ঈর্ষার কারণ হতে পারে। তার পরেও সরে যেতে চান মোদী! অবাক রাজনৈতিক মহল।


আরও পড়ুন-দিল্লি আদালতের রায়ে অনির্দিষ্টকালের জন্য স্থগিত নির্ভয়াকাণ্ডে দণ্ডিতদের ফাঁসি


গোটা দুনিয়ায় রাষ্ট্রনেতাদের মধ্য়ে ফলোয়ারের সংখ্যায় অনেককেই টেক্কা দেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। বর্তমানে টুইটারে তাঁর ফলোয়ারের সংখ্যা ৫ কোটি ৩৩ লাখ।  ফেসবুকে ওই সংখ্যা ৪৪,৭২২,১৪৩ জন। ইনস্টাগ্রাম ও ইউটিউবেও যথেষ্ট জনপ্রিয় প্রধানমন্ত্রী। ওই দুই প্লাটফর্মে তাঁর সাবস্ক্রাইবারের সংখ্যা যথাক্রমে ৪৫ লাখ ও ৩ কোটি ৫২ লাখ। এরকম এক অবস্থায় কেন সোশ্যাল মিডিয়া ছেড়ে দিচ্ছেন নমো। এনিয়ে সরগরম রাজনৈতিক মহল।