Delhi Airport Collision: প্লেনের তলায় ঢুকে গেল আস্ত গাড়ি! তারপর...
দেখা গিয়েছে, `গো ফার্স্ট`-এর গাড়িটির সঙ্গে একটুর জন্য `ইন্ডিগো` এয়ারক্র্যাফ্টের `নোজ হুইলে`র ধাক্কা লাগেনি। লাগলে বড় ধরনের বিপর্যয় হতে পারত। তবে, সিভিল অ্যাভিয়েশন কর্তৃপক্ষের তরফে জানানো হয়েছে, এর ফলে কোনও ক্ষয়ক্ষতি হয়নি, বা কেউ হতাহত হননি।
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: 'গো ফার্স্ট' এয়ারলাইনের একটি গাড়ি ঢুকে গেল 'ইন্ডিগো' এয়ারক্র্যাফ্টের তলায়! দুর্ঘটনাটি ঘটেছে মঙ্গলবার দিল্লি এয়ারপোর্টে। পুরো ঘটনাটিই ক্যামেরাবন্দি হয়েছে। দেখা গিয়েছে, 'গো ফার্স্ট'-এর গাড়িটির সঙ্গে একটুর জন্য 'ইন্ডিগো' এয়ারক্র্যাফ্টের 'নোজ হুইলে'র ধাক্কা লাগেনি। লাগলে বড় ধরনের বিপর্যয় হতে পারত। তবে, সিভিল অ্যাভিয়েশন কর্তৃপক্ষের তরফে জানানো হয়েছে, এর ফলে কোনও ক্ষয়ক্ষতি হয়নি, বা কেউ হতাহত হননি। সংশ্লিষ্ট গাড়িটির চালক নেশাসক্ত ছিলেন কিনা সে বিষয়ে নিশ্চিত হতে 'ব্রিদ অ্যানালাইজার টেস্ট' করা হয়েছিল, এবং তা নেগেটিভ এসেছে। যদিও পরে বলা হয়েছে, উক্ত চালক 'ওভারওয়ার্কড' ছিলেন বলে ঘটনাটি ঘটেছে। দিল্লি বিমানবন্দরের টি-২ টার্মিনালে এই ঘটনা ঘটার পরেও অবশ্য উড়ানের সময়সূচিতে কোনও পরিবর্তন আসেনি। এটির পাটনায় উড়ে যাওয়ার কথা ছিল, নির্ধারিত সময়েই এটি পাটনার দিকে উড়ে যায়। তবে 'গো ফার্স্ট' বা 'ইন্ডিগো' কারওর তরফেই কোনও মন্তব্য এখনও পর্যন্ত পাওয়া যায়নি।
এদিকে ইদানীং কালে বারে বারেই নানা বিমান কোম্পানির বিমানে নানা সমস্যা ঘটেছে। কিছুদিন আগেই আচমকা সমস্যা দেখা দেওয়ায় মুম্বইয়ে জরুরি অবতরণ করতে বাধ্য হয়েছিল এয়ার ইন্ডিয়ার একটি বিমান। দুবাই থেকে কোচি আসছিল এয়ার ইন্ডিয়ার একটি ড্রিম লাইনার। কিন্তু কোচিতে অবতরণের আগেই পাইলট এটিসিকে জানান, বিমানের ভেতরে বায়ুর চাপে সমস্যা হচ্ছে। তার পরই জরুরি ভিত্তিতে বিমানটিকে মুম্বইয়ে অবতরণ করানো হয়। সূত্রের খবর, বিমানের ভেতরের বায়ুর চাপ এতটাই কমে যায় যে, অক্সিজেন মাস্ক ব্যবহার করতে হয় যাত্রীদের। ওই ঘটনার তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিল ডিজিসিএ। আসলে কেবিনের বায়ুর চাপ কমে যাওয়া অত্যন্তু গুরুতর সমস্য়া। এরকম পরিস্থিতিতে বেশিরভাগ সময়ে পাইলট বিমানকে জরুরি অবতরণ করিয়ে থাকেন। ডিজিসিএ আপাতত বিমানটিকে বসিয়ে দিয়েছে। তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত এটির ক্রুদেরও উড়ান বাতিল করা হয়েছে। তার আগেও এরকম একটি সমস্যা হয়েছিল এয়ার ইন্ডিয়ার। কালিকট থেকে দুবাই যাওয়ার পথে সমস্যা দেখা গিয়েছিল এয়ার ইন্ডিয়ার একটি বিমানে। জরুরি ভিত্তিতে সেটিকেও নামানো হয়েছিল।
স্পাইসজেট কয়েক সপ্তাহের জন্য তাদের উড়ানের ৫০ শতাংশ বসিয়ে রাখতে বাধ্য হয়েছিল। কেন এই নির্দেশ? বারবার বিপত্তি ঘটাতেই স্পাইসজেটের উপর এই নিষেধাজ্ঞা এসেছিল। সেফ এবং রিলায়েবেল এয়ার ট্রান্সপোর্ট সার্ভিস দেওয়ার ক্ষেত্রে গত কয়েকদিন ধরে বারবার ব্যত্যয় ঘটায় এই নির্দেশিকা এসেছিল বলে মনে করা হয়েছিল। সাম্প্রতিক কালে কোনও বিমান সংস্থাকে এতটা কড়া অনুশাসনের মধ্যে পড়তে হয়নি বলেই বলা হচ্ছে। কবে আবার স্বাভাবিক সংখ্যার উড়ানে ফিরতে পারবে স্পাইসজেট? ডিজিসিএ-র তরফে জানানো হয়েছে, স্পাইসজেট যখন যথেষ্ট পরিমাণ টেকনিক্যাল সাপোর্ট এবং তার ফিনান্সিয়াল রিসোর্স কাজে লাগিয়ে তাদের সার্ভিস মসৃণ করে তুলতে পারবে তখনই তা বাড়ানো নির্দেশ দেওয়া যেতে পারে।
আরও পড়ুন: Indian Air Force Sarang: আকাশে উদ্ধত 'ময়ূর-বাহিনী', দেখে তাজ্জব গোটা দুনিয়া...