নিজস্ব প্রতিবেদন: তাঁর সঙ্গে সাক্ষতের পর থেকে প্রবল চাপে রয়েছেন গোয়ার মুখ্যমন্ত্রী মনোহর পর্রীকর। চিঠি লিখে এমটাই দাবি করলেন রাহুল গান্ধী। ফলে পর্রীকর-রাহুল পত্রযুদ্ধ ফের নতুন দিকে মোড় নিল।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন-বিধ্বংসী বোল্টে হ্যামিলটনে জয়ে ফিরল কিউইরা  


মঙ্গলবার গোয়ায় অসুস্থ পর্রীকরের সঙ্গে সাক্ষাত করেন কংগ্রেস সভাপতি। মিনিট পাঁচেকের সেই সাক্ষাতকে টুইটে ব্যক্তিগত বলেই জানিয়েছিলেন রাহুল। কিন্তু সেদিনই কেরলের কোচিতে এক সভা করেন রাহুল গান্ধী। সেখানে তিনি মন্তব্য করেন, সকালে গোয়ার মু্খ্যমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাত করলাম। পর্রীকর জানালেন প্রধানমন্ত্রীর এই রাফাল যুদ্ধবিমান চুক্তিতে তাঁর কোনও ভূমিকা নেই।


রাহুলের সঙ্গে গোয়ার মুখ্যমন্ত্রীর সাক্ষাতের পর থেকেই দলে একটি চাপা অস্বস্তি ছিল। এবার রাহুলের করা মন্তব্যে তা নতুন দিকে মোড় নেয়। বুধবার বাধ্য হয়েই রাহুলকে উদ্দেশ্য করে একটি চিঠি লেখেন পর্রীকর। প্রাক্তন প্রতিরক্ষমন্ত্রী লেখেন, হঠাত্ই আমার স্বাস্থ্যের খোঁজ নিতে আসেন। পাঁচ মিনিটের সেই সাক্ষাতকারে রাফাল প্রসঙ্গ ওঠেনি। অত্যন্ত নিম্নমানের রাজনীতি করার জন্যই রাহুল দেখা করতে এসেছিলেন। এভাবে কোনও অসুস্থ মানুষকে নিয়ে রাজনীতি করবেন না।


আরও পড়ুন- চিটফান্ডের টাকা কার মাধ্যমে কোথায় পৌঁছেছে? সিবিআই-এর ম্যারাথন জেরার মুখে মোহতা             


এদিকে, ওই চিঠির পর চাপে পড়ে যান রাহুলও। রাতেই পাল্টা চিঠি লিখেন রাগা-ও। তাঁর ব্যাখ্যা, দলের চাপেই চিঠি লিখেছেন পর্রীকর। তাঁর সঙ্গে গোয়ায় আমার সাক্ষাতের বিষয়বস্তু প্রকাশ্যে তেমন কিছুই বলিনি। তবে সংবাদমাধ্যেম যা প্রকাশিত হয়েছে সেটাই বলেছি। ২০১৫ সালে পর্রীকর গোয়ায় একটি বাজারের উদ্বোধন করতে এসেছিলেন। সেদিনই প্রধানমন্ত্রী রাফাল চুক্তির কথা ঘোষণা করেন। এনিয়ে পর্রীকর সংবাদমাধ্যমে বলেন, তিনি রাফাল চুক্তি নিয়ে তেমন কিছুই জানেন না। এনিয়ে তাঁর ওপরে প্রধানমন্ত্রী চাপ বাড়াচ্ছিলেন। ফলে বাধ্য হয়েই তাঁকে চিঠি লিখে প্রধানমন্ত্রীর প্রতি আনুগত্য দেখাতে হয়েছে।