নিজস্ব প্রতিবেদন- ফর্সা যে, সে সুন্দর হতেই পারে। তবে ফর্সা মানেই একমাত্র সুন্দর নয়। এটাই যেন বুঝতে শিখছে গোটা বিশ্ব। আর তাই ফেয়ার অ্যান্ড লাভলির পর আরো একটি সংস্থা তাদের পণ্যের নাম থেকে ফেয়ার শব্দ সরাল। ১৯৭৫ সালে প্রথমবার বাজারে এসেছিল ফেয়ার অ্যান্ড লাভলি ফেয়ারনেস ক্রিম। এত বছর ধরে দেশজুড়ে একচেটিয়া ব্যবসা করেছে এই ফেয়ারনেস ক্রিম। টিভিতে বিজ্ঞাপন, হোডিংয়ের মাধ্যমে সংস্থাটি বারবার এটাই প্রতিপন্ন করার চেষ্টা করেছে যে ফর্সা মানেই সুন্দর। ফর্সা না হলে মেয়েদের বিয়ে হওয়ার ক্ষেত্রেও সমস্যা হতে পারে। গায়ের রঙ কালো থেকে সাদা করতে হলে তাদের ক্রিম একমাত্র ভরসা। দেশে ফেয়ারনেস ক্রিম বিক্রির বাজারের ৭০ শতাংশ ছিল ফেয়ার অ্যান্ড লাভলির দখলে। কিন্তু এত বছর পর তারা নাম থেকে ফেয়ার শব্দটি সরাতে বাধ্য হল।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

তবে ৪৫ বছরে তারা দেশের অনেক মানুষের মাথায় এটাই গেঁথে দিয়েছে যে ফর্সা মানেই সুন্দর। আমেরিকায় কৃষ্ণাঙ্গ জর্জ ফ্লয়েডের পুলিসি হেফাজতে থাকাকালীন মৃত্যুর পর গোটা বিশ্বে প্রতিবাদ শুরু হয়েছিল। গায়ের রঙের জন্য বহু মানুষকে হেনস্থার শিকার হতে হয়েছে। গায়ের রঙ ফর্সা না হলে সামাজিক প্রতিষ্ঠা পাওয়া যায় না। এমন একটা বদ্ধমূল ধারণাও সমাজের একটা স্তরে বাড়তে শুরু করেছিল। তবে এবার মানুষ সেই ধারণার গোড়ায় আঘাত করতে শুরু করেছে। ফলে বেশ কয়েকটি সংস্থা পণ্যের নাম থেকে ফেয়ার শব্দ সরাতে বাধ্য হচ্ছে। এবার যেমন Godrej Consumer Products Ltd তাদের ফেয়ার গ্লো সাবানের নাম বদলাতে বাধ্য হয়েছে। যদিও ফেয়ার অ্যান্ড লাভলি নাম বদলের পরই এই সংস্থাও নামের পরিবর্তন করতে রাজি হয়েছিল।


আরও পড়ুনপরীক্ষার্থীদের বাবা-মায়ের অনবরত চাপেই NEET হচ্ছে! দায় সারলেন শিক্ষামন্ত্রী


দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম সাবান প্রস্তুতকারক সংস্থা Godrej Consumer Products Ltd. সাবান, হ্যান্ড ওয়াশ ও ওয়াইপস বিক্রির বাজারেও নামডা রয়েছে এই সংস্থার। ভারতের সব থেকে বড় এফএমসিজি সংস্থা HUL আগেই ফেয়ারনেস ক্রিমের নাম বদলে রাজি হয়েছিল। ৪ অগাস্ট Godrej Consumer Products Ltd জানিয়েছিল, তারাও সাবানের নাম থেকে ফেয়ার শব্দটি বদলাতে রাজি। চাপে পড়েই যে দুই সংস্থার এই সিদ্ধান্ত তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। তবে সংস্থাগুলির পণ্যের সঙ্গে মানুষের মানসিকতায় বদল হবে কি না তা এখনই বলা মুশকিল।