নিজস্ব প্রতিবেদন: দু’জনেই ‘মুক্ত’। দু’জনেই দলের সুপ্রিমো নীতীশ কুমারকে ধন্যবাদ জানালেন। একজন জেডিইউ-র ডেপুটি তথা ভোট কৌশলী নীতীশ কুমার। অন্য জন প্রাক্তন সাংসদ এবং দলের জাতীয় সম্পাদক পবন ভার্মা। দু’জনেই টুইট করে নীতীশকে মুখ্যমন্ত্রী পদ ধরের রাখার জন্য শুভেচ্ছা জানান। বহিষ্কারের খবর আসার পর প্রশান্ত কিশোর বলেন, “ধন্যবাদ নীতীশ কুমার। বিহারের মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে কুর্সি ধরে রাখার জন্য আপনাকে শুভেচ্ছা জানাই।” পবন ভার্মার গলায় একই সুর। যে কোনও মূল্যে কুর্সি ধরে রাখার জন্য নীতীশকে ধন্যবাদ দেন পবন ভার্মা।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

বুধবার, দলবিরোধী কার্যকলাপের অভিযোগে ডেপুটি তথা ভোট-কৌশলী প্রশান্ত কিশোরকে বহিষ্কার করে জনতা দল ইউনাইটেড। এর সঙ্গে দলের আরও এক হেভিওয়েট নেতা পবন ভার্মাকেও বহিষ্কার করা হয়। সম্প্রতি সিএএ-এনআরসি নিয়ে প্রশান্ত কিশোরের সঙ্গে জেডিইউ সুপ্রিমো নীতীশ কুমারের সঙ্গে মতবিরোধ হয়। যে জটলা কাটলেও গতকাল টুইট করে প্রশান্ত কিশোর দলের সুপ্রিমোর উপর বেশ কিছু ইস্যু নিয়ে ক্ষোভ উগরে দেন।


আরও পড়ুন- গর্ভপাতের সময়সীমা বাড়ছে আরও ৪ সপ্তাহ, বাজেট অধিবেশন আসছে আইন সংশোধনী বিল


সম্প্রতি নীতীশ কুমার জানিয়েছিলেন, প্রশান্ত কিশোর দলে অপরিহার্য নয়। তিনি দলে থাকবেন কি না থাকবেন তাঁর সিদ্ধান্ত। নীতীশের এই মন্তব্যের কড়া সমালোচনা করে প্রশান্ত কিশোর বলেন, “মিথ্যে বলতে গিয়ে অনেকটাই নীচে নেমে গেছে নীতীশ কুমার। আমি কীভাবে জেডিইউ-তে যোগ দিলাম, তা বলার জন্য এতটা মিথ্যে! মনে রাখবেন, খুব কাঁচা চাল দিয়ে ফেলেছেন তিনি”


প্রকাশ্যে নীতীশ-পিকে মতবিরোধ প্রকাশ্যে আসার পরই অস্বস্তিতে পড়ে দল। নীতীশের পদক্ষেপ নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন পিকে। সিএএ বিরোধিতা করায় তিনি প্রকাশ্যে জানিয়েছিলেন, নীতীশ সংবিধানবিরোধী পদক্ষেপ করছেন। সে সময় নীতীশ ঢোঁক গিললেও, এবারে একে বারে দল থেকে পিকে-কে ছেঁটে ফেললেন বিহারের মুখ্যমন্ত্রী।