নিজস্ব প্রতিবেদন : গোরক্ষপুরের বিআরডি হাসপাতালের চিকিত্‍সক কাফিল খানের ভাইকে খুনের চেষ্টা করল দুষ্কৃতীরা। গুলিবিদ্ধ অবস্থায় বর্তমানে হাসপাতালে ভর্তি কাসিফ জামিল। কয়েকদিন আগেই, কাফিল আশঙ্কা প্রকাশ করেন, তাঁকে ও তাঁর পরিবারকে খুনের চেষ্টা করছে দুষ্কৃতীরা। ভাইয়ের ওপর হামলার পর পুলিসি নিরাপত্তা দাবি করেছেন তিনি। পরিবার আক্রান্ত হলেও মাথা নোয়াবেন না বলে মন্তব্য করেছেন কাফিল।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

গত অগস্টে গোরখপুরের বিআরডি মেডিক্যাল কলেজে চার দিনে ৬৩টি শিশুর মৃত্যু হয়। বাইরে থেকে অক্সিজেন এনে শিশুদের বাঁচানোর চেষ্টা করেন হাসপাতালের ডাক্তার কাফিল খান। এরপর গাফিলতির অভিযোগে পুলিস তাঁকেই গ্রেফতার করে বসে। কার্যত তখন থেকেই নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন কাফিল খান।


রবিবার রাত ১১টা নাগাদ গোরক্ষনাথ মন্দিরের কাছে কাফিল খানের ভাই কাসিফ জামিলকে গুলি করা হয়। দুই দুষ্কৃতী একটি মটোর বাইকে এসে তাঁর ওপর তিনটি গুলি করে পালিয়ে যায়। তাঁর হাতে, ঘাড়ে, থুতনিতে আঘাত লেগেছে।


 আরও পড়ুন- রাস্তার ধারেই সকলের সামনে যৌন সঙ্গমে লিপ্ত যুগল


কাফিলের অভিযোগ, মেডিকো-লিগাল পরীক্ষার নামে পুলিস তাঁদের হেনস্থা করছে। প্রায় চার ঘণ্টা লেগে যায় অপারেশন শুরু করতে। গুলি বের করার পর এখন আইসিইউ-তে ভর্তি কাসিফ।


পরপর শিশুমৃত্যুর সময় হাসপাতালে উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের রোষের মুখে পড়েন চিকিত্‍সক কাফিল খান। সাত মাস জেল খেটে এলাহাবাদ হাইকোর্ট থেকে জামিন পান তিনি। যোগী সরকার নিজেদের গাফিলতি ঢাকতেই তাঁকে মিথ্যা মামলায় ফাঁসিয়েছে বলে আগেই অভিযোগ করেন কাফিল। সেই সূত্রেই এবার তাঁর ভাইয়ের ওপর হামলা হল বলে কাফিলের সন্দেহ।


 



এদিন কাফিল তিনি টুইটে জানান, "আল্লা দয়া করুন। আমি মাথা নিচু করব না।" তবে পুলিসের দাবি, জমি নিয়ে গণ্ডগোলের জেরেই চলেছে গুলি।


রাজনৈতিক কারণ নাকি ব্যক্তিগত শত্রুতা? কেন গুলি চলল গোরক্ষপুরে? রহস্য সমাধানে কাফিলের ভাইয়ের জ্ঞান ফিরলে তাঁর বয়ান রেকর্ড করা হবে। তবে তার আগে এখনও পর্যন্ত দুষ্কৃতীদের খোঁজ পায়নি পুলিস।