নিজস্ব প্রতিবেদন: অক্সিজেনের অভাবে নয়, গত বছর অগাস্টে গোরক্ষপুরের হাসপাতালে শিশুমৃত্যু হয়েছিল অভ্যন্তরীণ রাজনীতির জন্য। শনিবার লখনউয়ে এক অনুষ্ঠানে এই মন্তব্য উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আদিত্যনাথ বলেন, 'গত বছর গোরক্ষপুরের বিআরডি মেডিক্যাল কলেজে অক্সিজেনের অভাবে শিশুমৃত্যুর খবর প্রকাশ্যে এসেছিল। কিন্তু সত্যিই অক্সিজেনের অভাবে মৃত্যু হয়ে থাকলে তো আগে ভেন্টিলেশনে থাকা শিশুগুলির আগে মৃত্যু হত।' তাঁর দাবি, তদন্তে জানা গিয়েছে, হাসপাতালের অভ্যন্তরীণ রাজনীতির জন্য এই ঘটনা ঘটেছে। এই নিয়ে চিকিত্সকদের সঙ্গে আমার আলোচনা হয়েছে। আমি তাঁদের এনসেফেলাইটিস রোধে পরিবেশ পরিচ্ছন্ন রাখতে সচেতনতা বৃদ্ধিতে জোর দিতে অনুরোধ করেছি।'


আদিত্যনাথ বলেন, 'ওই ঘটনার খবর পেয়েই স্বাস্থ্য বিভাগের ডিরেক্টর জেনারেল, স্বাস্থ্য মন্ত্রী ও স্বাস্থ্য শিক্ষা মন্ত্রীকে ঘটনাস্থলে যেতে নির্দেশ দিই। তাঁরা ঘটনাস্থল থেকে আমাকে রিপোর্ট পাঠান। পর দিন আমি নিজে সেখানে যাই। জানতে পারি, হাসপাতালে অক্সিজেনের কোনও অভাবই ছিল না।' 


কেরলের বন্যাদুর্গতদের জন্য ত্রাণ পাঠালেন কাশ্মীরিরা


বলে রাখি, গত বছর অগাস্টে আদিত্যনাথের নিজের শহর গোরক্ষপুরের বিআরডি হাসপাতালে এক সপ্তাহে ৭২টি শিশুর মৃত্যু হয়। অভিযোগ ওঠে, হাসপাতালে অক্সিজেন না থাকায় মৃত্যু হয়েছে অধিকাংশ শিশুর। তদন্ত শুরু হলে যদিও ঘটনা অন্য দিকে মোড় নেয়। গ্রেফতার করা হয় কাফিল খান নামে হাসপাতালেরই এক চিকিত্সককে। তদন্তকারীদের দাবি ছিল, হাসপাতালের ভাণ্ডারে থাকা অক্সিজেন নিজের নার্সিংহোমে সরিয়েছেন ওই চিকিত্সক। যদিও যোগী সরকারের এই অভিযোগ মানেনি বিরোধীরা। তাদের দাবি ছিল, নিজেদের অপদার্থতা ঢাকা দিতে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে এক মুসলিম চিকিত্সকের ঘাড়ে কাঁঠাল ভাঙার চেষ্টা করছে যোগী সরকার।