ওয়েব ডেস্ক : পাসপোর্ট করাতে চান? ড্রাইভিং লাইসেন্স? রেজিস্ট্রেশন? কিংবা সিভিল সার্ভিসের পরীক্ষায় বসবেন? ব্যাঙ্কে কত টাকা আছে খোঁজ নিন। কারণ পকেটে জোরালো টান পড়তে চলেছে। পরিষেবায় ভর্তুকি তুলে নেওয়ার কথা ভাবছে কেন্দ্র।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

সরকারি পরিষেবা মানেই সস্তা। এই ধারণা বদলানোর সময় এসেছে এবার। ভর্তুকি দিতে এখন ভ্রু কুঁচকোচ্ছে কেন্দ্রীয় সরকার। রিজার্ভ ব্যাঙ্কের প্রাক্তন গভর্নর বিমল জালানের নেতৃত্বে এক্সপেন্ডিচার ম্যানেজমেন্ট কমিশন গড়ে অর্থ মন্ত্রক যাবতীয় সরকারি পরিষেবার খরচ উপভোক্তার কাছ থেকেই তোলার পরামর্শ দেয় কমিশন। এই দাওয়াই মনে ধরেছে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলির। কমিশনের পরামর্শ মেনে ডিজেল ও কেরোসিনে ভর্তুকিও কমানো হয়েছে। নোটিস পাঠানো হয়েছে প্রতিটি দফতর ও মন্ত্রকেও।


আরও পড়ুন- রাহুলের গ্রেফতারি কাণ্ডে ঘুম ভেঙে প্রতিবাদে রাজ্য কংগ্রেস নেতারা


কেন্দ্রের পরামর্শ, স্বায়ত্বশাসিত সংস্থাগুলি এবার স্বনির্ভরতার পথে হাঁটুক। এই স্বনির্ভরতা শব্দের অর্থ খুব সহজ। ধীরে ধীরে ভর্তুকি তুলে দিতে চায় কেন্দ্র। যুক্তিটা খুবই স্পষ্ট। ভর্তুকি দিয়ে স্বায়ত্বশাসিত সংস্থার পরিষেবার ব্যয়ভার আর বহন করতে চায় না কেন্দ্রীয় সরকার।


কেন্দ্র ভর্তুকি তুলে নিলে কী প্রভাব পড়বে বিভিন্ন পরিষেবায়?

১) পাসপোর্ট করাতে বর্তমানে আবেদনকারীর খরচ পড়ে দেড় হাজার টাকা, এই খরচ অনেকটাই বাড়বে
২) সিভিল সার্ভিস পরীক্ষায় বসার খরচ এখন একশো টাকা, এই খরচ অনেকটাই বেড়ে যাবে

সরকারের কাজ নীতি প্রণয়ন। কোম্পানি চালানো নয়। বিলগ্নিকরণ হোক বা ভর্তুকি ছাঁটাই। বারবার এই যুক্তিই শোনা যায় কেন্দ্রের মুখে। প্রশ্ন উঠছে, ভর্তুকি উঠে গেলে সিভিল সার্ভিসের চাকরি নিম্নবিত্তের নাগালে থাকবে তো? পাসপোর্ট বা ড্রাইভিং লাইসেন্সই বা কীভাবে বানাবেন নিম্নমধ্যবিত্তরা?