মৃত্যুদণ্ডের আসামীকে `তারিখ পে তারিখ` আর নয়, সুপ্রিম কোর্টে আর্জি কেন্দ্রের
নির্ভয়াকাণ্ডের জের। সুপ্রিম কোর্টের শরণাপন্ন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক।
নিজস্ব প্রতিবেদন: 'তারিখ পে তারিখ, তারিখ পে তারিখ'- আইনের ফাঁক গলে ফাঁসি পিছিয়েই চলেছে নির্ভয়াকাণ্ডের দোষীদের। এহেন পরিস্থিতিতে সুপ্রিম কোর্টের শরণাপন্ন হল কেন্দ্র। আদালতে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক আবেদন জানিয়েছে, ফাঁসির দণ্ডাদেশপ্রাপ্ত দোষীদের আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার একটা নির্দিষ্ট সময়সীমা ঠিক করে দেওয়া হোক। বর্তমান আইনের সুযোগ নিয়ে ফাঁসি পিছিয়ে দিতে সক্ষম হচ্ছে সাজাপ্রাপ্তরা।
আবেদনে বলা হয়েছে, সুপ্রিম কোর্ট দোষীদের ফাঁসির রায় পর্যালোচনার আর্জি খারিজ করে দেওয়ার পর ফের আবেদনের একটা সময়সীমা ঠিক করে দেওয়া উচিত। ফাঁসির সাজাপ্রাপ্ত আসামীদের অধিকার নিয়ে সুপ্রিম কোর্ট তাদের অতীত রায় নিয়ে ভাবনাচিন্তা করুক। কেন্দ্র আবেদনে বলেছে, মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করার ক্ষেত্রে যাঁরা অপরাধের শিকার, তাঁদের কথা ভেবে বিধি তৈরি হোক। দোষীদের শেষ আইনি পদক্ষেপ নেওয়ার ক্ষেত্রে বেঁধে দেওয়া হোক নির্দিষ্ট সময়সীমা।
২০১২ সালের ১৬ ডিসেম্বর শীতের রাত দিল্লিতে চলন্ত বাসে গণধর্ষণের নৃশংসতা নাড়িয়ে দিয়েছিল গোটা দেশকে। দ্রুত বিচার, আইনের বদল--একাধিক দাবিতে সেদিন উত্তাল হয় রাজপথ। ধরা পড়েছে নির্ভয়ার ধর্ষকরা। সাজা হয়েছে। ২০১৭ সালে সুপ্রিম কোর্ট নির্ভয়ার ধর্ষকদের ফাঁসি বহাল রাখে। তারপর কেটে গিয়েছে আড়াই বছর। তবে নির্ভয়াকাণ্ডের দোষীদের ফাঁসি নিয়ে জট এখনও কাটেনি। মৃত্যুদণ্ড পুনর্বিবেচনার আর্জি, কিউরেটিভ পিটিশন, প্রাণভিক্ষার আর্জি, একে একে সবই খারিজ হয়ে গেছে। কিন্তু দোষীদের একের পর এক আবেদনের জেরে ফাঁসি কার্যকর হয়নি। ফাঁসিতে দেরি নিয়ে বিতর্কে লেগেছে রাজনীতির রং-ও।
প্রথম দফায় ২২ জানুয়ারিই নির্ভয়াকাণ্ডের ৪ দোষীর ফাঁসি হওয়ার কথা ছিল। ফাঁসির দিন বদলে গেলেও, সেই ২২ তারিখই মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের বিধি বদল নিয়ে সুপ্রিম কোর্ট আর্জি জানাল কেন্দ্র।
আরও পড়ুন- নাগরিকদের স্বাধীনতা খর্ব, বিশ্ব গণতন্ত্র সূচকে ১০ ধাপ পড়ল মোদীর ভারত