নিজস্ব প্রতিবেদন: লখনউয়ে প্রিয়ঙ্কার অভিষেকের দিন রাফাল ফাঁস আরও চেপে বসল মোদী সরকারের গলায়। এবারও বোমা ফাটিয়েছে সংবাদপত্র হিন্দু। বিশেষ রিপোর্টে তাদের দাবি, রাফাল চুক্তির ঠিক আগে দুর্নীতি বিরোধী সব রকম শর্ত এড়িয়ে গিয়েছিল মোদী সরকার।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের ওপরে গিয়ে সমান্তরাল চুক্তি আলোচনা রিপোর্ট সামনে এনে সদ্য বোমা ফাটিয়েছে সংবাদপত্র দ্য হিন্দু। রাফালের ক্যাগ রিপোর্ট জমা পড়ার দিন আবার গোলন্দাজ তারা। দ্য হিন্দুর স্পেশাল রিপোর্টে অভিযোগ, যুদ্ধবিমান কেনার চুক্তিতে দুর্নীতি বিরোধী সব রকম শর্ত লঙ্ঘন হয়েছে। রাফালে আর্থিক লেনদেনের ক্ষেত্রে স্বচ্ছতার পথে হাঁটেনি কেন্দ্র। ২০১৬ সালের সেপ্টেম্বরে ৩৬টি রাফাল কেনা নিয়ে ফ্রান্স সরকারের সঙ্গে দিল্লির অভ্যন্তরীণ চুক্তি হয়। চুক্তির অঙ্ক ৫৮ হাজার কোটি টাকা। দ্য হিন্দুর তদন্ত রিপোর্টে দাবি, রাফাল চুক্তির ঠিক আগের দিন সর্বোচ্চ পর্যায়ে রাজনৈতিক হস্তক্ষেপ হয়। অর্থসচিবের পরামর্শ ছিল এসক্রো অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে যুদ্ধবিমানের দাম মেটানো হোক। এর  ফলে ওই টাকা শুধু বিমান কেনার খাতেই ব্যবহৃত হবে। বিপুল অঙ্কের অর্থ অপব্যবহারের সুযোগ থাকবে না। অভিযোগ, কেন্দ্রীয় সরকার অর্থসচিবের এই সুপারিশে আমল দেয়নি। চুক্তিতে আর্থিক লেনদেন হওয়ার কথা ছিল সরকার টু সরকার। কিন্তু প্রধানমন্ত্রীর দফতরের রাজনৈতিক হস্তক্ষেপে তা হয়েছে ভারত সরকার টু  ফরাসি শিল্প সংস্থা।


আরও পড়ুন- ‘পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীর মতো আচরণ করছেন মোদী’ বিস্ফোরক কেজরীবাল


হাই ভোল্টেজ প্রতিরক্ষা চুক্তির কিছু প্রধান শর্ত থাকে। যেমন ---


** অনর্থক প্রভাব খাটালে শাস্তি


** এজেন্সির কমিশন খেতে মানা


** চুক্তিবদ্ধ সংস্থার অ্যাকাউন্টে সরাসরি অ্যাকসেসে নিষেধাজ্ঞা


দ্য হিন্দুর রিপোর্টে দাবি, মোদী সরকার কোনও প্রোটোকল মানেনি।  প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম সরবরাহকারী ফরাসি সংস্থা দাঁসো ও MBDA ফ্রান্সের সঙ্গে রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে সরাসরি কথা বলা হয়েছে। কেন্দ্রের এমন আচরণের প্রতিবাদ করেছিলেন চুক্তিদলের তিন সদস্য- এম.পি সিং, পরামর্শদাতা (কস্ট), এ.আর শূলে, ফিনান্সিয়াল ম্যানেজার (এয়ার), রাজীব বর্মা, যুগ্ম সচিব (এয়ার)।


আরও পড়ুন- হাই স্পিড ট্রেনের সম্পাদিত ভিডিও বানিয়ে ট্রোলড্ রেলমন্ত্রী


অভিযোগ, কারও কথা শোনা হয়নি। কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার নিরাপত্তা বিষয়ক দফতর আর ডিফেন্স অ্যাককুইজিশন কাউন্সিল। বিতর্কিত রাফাল চুক্তির ছাড়পত্রে প্রধান কুশীলব ছিল সরকারের এই দুই বডি। প্রথমটির মাথায় খোদ প্রধানমন্ত্রী। দ্বিতীয়টির প্রধান ছিলেন তত্‍কালীন প্রতিরক্ষামন্ত্রী মনোহর পর্রীকর। লখনউয়ে প্রিয়াঙ্কার অভিষেকের দিন দ্য হিন্দুর নতুন রিপোর্টকে এভাবেই লুফে নেন রাহুল। ভাই-বোনের rally -তে উঠে আসে বিতর্কিত বিমানের রেপ্লিকা।