নিজস্ব প্রতিবেদন: তিন তালাক বিল অসংবিধানিক। বললেন অল ইন্ডিয়া মজলিস-ই-ইত্তেহাদুল মুসলিমিন দলের সাংসদ আসাদউদ্দিন ওয়েসি। তাঁর আরও দাবি, যদি ওই বিল পাশ হয়, তাহলে মুসলিম মহিলাদের প্রতি অবিচার করা হবে।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING


নয়া অধিবেশন বসতেই আরও এক বার ‘তাত্ক্ষণিক তিন তালাক’ বিল উত্থাপন করে এনডিএ সরকার। বিল পেশ করার পক্ষে ১৮৬টি ভোট পড়ে, বিপক্ষে পড়ে ৭৪টি ভোট। এ দিন আইনমন্ত্রী রবিশঙ্কর প্রসাদ বলেন, মহিলাদের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতে বদ্ধপরিকর সরকার। আসাদউদ্দিন ওয়েসির পাশাপাশি কংগ্রেসের তরফে শশী থারুর বলেন, এই বিল নির্দিষ্ট সম্প্রদায়ের উপর কড়া পদক্ষেপ করা হবে।  বিশেষ করে মুসলিম পুরুষদের ওপর। অন্য ধর্মের স্ত্রীদের পরিত্যাগ করেন পুরুষরা। সার্বিক নিয়ম তৈরি করার দাবি জানান থারুর। পাশাপাশি ওই বিলকে স্ট্যান্ডিং কমিটিতে পাঠানোর দাবিও তোলেন।


হায়দরাবাদের সাংসদ আসাদউদ্দিন ওয়েসি এ দিন বলেন, “যদি তিন তালাকের কারণে পুরুষকে গ্রেফতার করা হয়, তাহলে তাঁর স্ত্রী ভরনপোষণ কে করবে?” সরকার করবে কি প্রশ্ন তোলেন তিনি। আসাদউদ্দিনের আরও প্রশ্ন, অন্য সম্প্রদায়ের ক্ষেত্রে এক বছরের জেল, শুধুমাত্র মুসলিম পুরুষদের জন্য ৩ বছরের জেল। এতে সংবিধানের ১৪ ও ১৫ অনুচ্ছেদ লঙ্ঘন হবে বলে অভিযোগ তোলেন আসাদউদ্দিন।


আরও পড়ুন- কর্নাটকে কংগ্রেস-জেডিএস ফাটল! অন্তর্বর্তীকালীন নির্বাচন হওয়ার ইঙ্গিত দিলেন খোদ দেবেগৌড়া


আইনমন্ত্রী রবিশঙ্কর প্রসাদ এ দিন স্পষ্ট করে জানিয়ে দেন, “এখানে আইন তৈরির জন্য জনগণ সাংসদদের নির্বাচিত করেছেন। আইনের ভুলভ্রান্তি আদালতে আলোচনা সাপেক্ষ।” তাঁর যুক্তি, “মুসলিম মহিলাদের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করাই সরকারের লক্ষ্য। ধর্ম, সম্প্রদায়ের থেকে গুরুত্বপূর্ণ মহিলাদের নিরাপত্তা।” আজ এই বিল পেশ সর্বসম্মতিভাবে পাশ হয় লোকসভায়। উল্লেখ্য, তিন তালাক বিল সংশোধন করে লোকসভায় এর আগে পাশ হয়। কিন্তু এনডিএ-র সংখ্যাগরিষ্ঠতা না থাকায় রাজ্যসভায় আটকে যায়। ফের ক্ষমতায় এসে অধিবেশনের শুরুতেই তিন তালাক বিল পাস নিয়ে সওয়াল শুরু করে দেয় মোদী সরকার। বার্তা স্পষ্ট, “সবকা সাথ সবকা বিকাশ সবকা বিশ্বাস” অর্জনে প্রথম থেকেই জমি কামড়ে নেমে পড়লেন মোদী-অমিত শাহেরা।