নিজস্ব প্রতিবেদন: মুখ ফসকে সত্যি কথা বলে বিপাকে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী নীতিন গড়করি। চাকরির কথা বলতে গিয়ে তিনি জানিয়ে দিলেন সরকারের চাকরি দেওয়ার ক্ষমতা ক্রমশ সংকুচিত হয়ে আসছে। গড়করির ওই মন্তব্য তোলপাড় রাজনৈতিক মহল। খোদ প্রধানমন্ত্রী বারেবারেই ‌যেখানে দেশে কর্মসংস্থানের আশ্বাস দিয়ে থাকেন। সেখানে গড়করি বললেন একেবারে উল্টো কথা।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন-বিরোধী জোট ছেড়ে মোদীর শরণে গেলেন তেলেঙ্গানার মুখ্যমন্ত্রী কে চন্দ্রশেখর রাও


শনিবার সংরক্ষণ নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্ন উত্তর দিতে গিয়ে সেমসাইড করে ফেলেন নীতিন গড়করি। মারাঠাদের সংরক্ষণের কথা বলতে গিয়ে তিনি বলেন, ‘সংরক্ষণ দিলেই ‌যে কাজ পাওয়া ‌যাবে তার কোনও নিশ্চয়তা নেই। দেশে এক শ্রেণির লোক রয়েছে ‌যারা প্রত্যেকটি জাতির মধ্যে থেকে গরিব খুঁজে বের করে সংরক্ষণ চাইছেন। ধরে নেওয়া ‌যাক সংরক্ষণ দেওয়া হল। কিন্তু কাজ কোথায়? কাজের বাজার সংকুচিত হয়ে গিয়েছে। ব্যাঙ্কে কাজ কমেছে তথ্যপ্র‌যুক্তির জন্য। সরকারি চাকরিতে নিয়োগ বন্ধ। তাহলে কীভাবে কাজ মিলবে?’


চাকরি ও শিক্ষায় সংরক্ষণ দেওয়ার দাবিতে মহারাষ্ট্রে আন্দোলনে নেমেছে মারাঠারা। এনিয়ে সপ্তাহখানেক আগে তোলপাড় হল মহারাষ্ট্র। এমনকি মুম্বইকে প‌র্যন্ত অচল করে দেয় আন্দোলনকারীরা। আন্দোলনের চাপে পড়ে সংরক্ষণ দেওয়া নিয়ে ভাবনাচিন্তা করতে বাধ্য হচ্ছে দেবেন্দ্র ফড়নবিশ সরকার। তিনি চাইছেন, এব্যাপারে রাজ্যের সবদল একমত হোক।


আরও পড়ুন-ICC টেস্ট র‍্যাংকিংয়ে শীর্ষে বিরাট কোহলি 


উল্লেখ্য, ক্ষমতায় আসার আগে নরেন্দ্র মোদী তাঁর বহু জনসভায় ‌দুটি ইস্যুকে জোর গলায় তুলে ধরতেন। একটি হল কালো টাকা এবং অন্যটি কর্মসংস্থান। এনডিএ ক্ষমতায় এলে তিনি ১ কোটি চাকরির ব্যবস্থা করবেন বলে প্রচার করেছিলেন। মোদী ক্ষমতায় আসার বেশকিছু সরকারি প্রকল্প ঘোষণা করা হলেও সেখানে খুব বেশি কাজের সু‌যোগ তৈরি হয়নি। বরং সমালোচকদের দাবি, নোট বাতিলের পর বহু মানুষ কাজ হারিয়েছেন।


নীতিন গড়করি এদিন আরও বলেন, সংরক্ষণের প্রধান সমস্যা হল পিছিয়েপড়ার তকমা নিয়ে রাজনীতিতে নেমে পড়েন লোকজন। বিহার ও উত্তরপ্রদেশের মতো রাজ্যে ব্রাহ্মণরা প্রভাবশালী। তারাই রাজনীতি নিয়ন্ত্রণ করেন। এখন তারা বলছেন তারাও পিছিয়েপড়া।


সংরক্ষণ দেওয়ার মাপকাঠির কথা বলতে গিয়ে গড়করি বলেন, গরিব মানুষের কোনও জাত নেই। মুসলিম, হিন্দু ‌যে ধর্মেরই গরিব মানুষ হোক না কেন তার পরনের কাপড় নেই, মাথার ওপরে ছাদ নেই, খাবার নেই। ফলে গরিব মানুষরাই সংরক্ষণ পাওয়ার দাবিদার।