নিজস্ব প্রতিবেদন:  করোনা আতঙ্ক গোটা বিশ্বে। এই মারণ ভাইরাস মোকাবিলায় কার্যত অসহায় চিন। সেই দেশ থেকেই উত্পত্তি করোনার কিন্তু এখনও পর্যন্ত ওষুধ বা ভ্যাকসিন তৈরিতে অক্ষম চিনা চিকিত্সকরা। করোনা আতঙ্কের আঁচ ভারতেও পড়েছে। কড়া নজরদারি, করোনা আক্রান্ত সন্দেহে রোগীদের বিচ্ছিন্ন চিকিত্সা ব্যবস্থা ছাড়া আরও কোনও পদক্ষেপ এখনও পর্যন্ত সম্ভব হয়নি। কিন্তু কেন্দ্র জানাচ্ছে করোনা মোকাবিলায় উপযুক্ত ওষুধ তাদের হাতে রয়েছে। ভ্যাকসিন বা অ্যালোপ্যাথি ওষুধ নয়, হোমিওপ্যাথিতেই করোনা প্রতিরোধ করা যাবে।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আয়ুর্বেদ মন্ত্রক তরফে টুইট করে জানানো হয়েছে, হোমিওপ্যাথি চিকিত্সায় করোনা ভাইরাস প্রতিরোধ করা যায়। করোনা আক্রান্তের উপসর্গ সারানোর জন্য ইউনানি ওষুধ অত্যন্ত কার্যকর বলে জানানো হয়েছে। এর জন্য একটি নির্দেশিকাও জারি করা হয়। কী করা উচিত, কী করা উচিত নয় তার একটি তালিকা প্রকাশ করা হয়। এমন কী ওষুধ খেতে হবে, তা-ও বলা হয়েছে। কেন্দ্রের আয়ুর্বেদ মন্ত্রক থেকে জানানো হয়েছে, আরসেনিকাম অ্যালবাম ৩০ (Arsenicum album 30)   এই ভাইরাস প্রতিরোধে সক্ষম।



আরও পড়ুন- মালয়েশিয়ায় করোনা-ভাইরাসে আক্রান্ত ভারতীয় যুবকের মৃত্যু!


আয়ুর্বেদ মন্ত্রকের এই নির্দেশিকায় তুমুল বিতর্ক তৈরি হয়েছে। চিকিত্সাশাস্ত্রে হোমিওপ্যাথি কতটা ‘বিজ্ঞানসম্মত’ তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন নেটিজেনরা। কেউ কেউ পরামর্শ দেন ইউনানি মেডিসিন পড়ুয়াদের আগে মাইক্রোবায়োলজি নিয়ে পড়া উচিত। করোনার মতো অত্যন্ত স্পর্শকাতর ভাইরাস মোকাবিলায় আদৌ হোমিওপ্যাথি চিকিত্সা প্রযোজ্য কিনা তা এখনও প্রমাণ হয়নি। গবেষণা না করেই সরকারের তরফে এমন নির্দেশিকায় বিভ্রান্তি তৈরি হতে বলে মনে করছেন অনেকেই।