নিজস্ব প্রতিবেদন: আই, ম্যাঁয়, আমি। মন্ত্রিত্বে শপথ নেওয়ার সময় কোনও বিধায়ক বা সাংসদের সঙ্গে একটি শব্দই বলতে শোনা যায় রাজ্যপাল বা রাষ্ট্রপতিকে। কিন্তু তা বলে কোনও মন্ত্রীর হয়ে পুরো শপথবাক্য পড়ে দিচ্ছেন রাজ্যপাল। আর তা শুনেই সেটা বলছেন মন্ত্রী। এমন ঘটনা সত্যিই বিরলতম।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন: জরুরি খবর! ধর্মঘটে কর্মীরা, বুধবার বন্ধ থাকবে ব্যাঙ্ক  


বিরলতম হলেও সত্যি এমনই ঘটনা ঘটল ছত্তিসগড়ে। মঙ্গলবার সেখানে মন্ত্রিসভা সম্প্রসারণ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী কংগ্রেসের ভূপেশ বাঘেল। মন্ত্রিত্ব পেয়েছেন কোঁটার বিধায়ক কাওয়াসি লাখমা।


কিন্তু শপথবাক্য পাঠের সময় তিনি মুখ পুড়িয়েছেন দলের। কারণ, তিনি নিরক্ষর। ফলে শপথবাক্য পাঠ করতেই পারেননি। শেষপর্যন্ত তাঁকে সাহায্য করতে এগিয়ে আসেন রাজ্যপাল আনন্দীবেন প্যাটেল। তিনিই পড়েন শপথবাক্য। আর সেটা শুনেই পুরোটা বলেন ওই কংগ্রেস নেতা।


আরও পড়ুন: পাঁচ বছর পর বাড়ি ফিরে এল উত্তরাখণ্ডের বন্যায় হারিয়ে যাওয়া 'ছোট্ট' মেয়ে


এই ভিডিও সামনে আসতেই স্বাভাবিকভাবে হইচই পড়ে গিয়েছে। বিরোধীরা সমালোচনায় সরব হয়েছেন। কিন্তু তাতে হেলদোল নেই ছত্তিসগড়ের বস্তার অঞ্চলের ওই আদিবাসী নেতার। তিনি নিজে মুখেই বলছেন যে তিনি নিরক্ষর। কিন্তু তাঁর অঞ্চলের মানুষের ভালোবাসায় এতদূর এসেছেন। আগামিদিনেও এভাবেই এগিয়ে যাবেন তিনি।


১৯৯৮ সালে প্রথমবার বিধায়ক হয়েছিলেন কাওয়াসি লাখমা। এর পর আর তাঁকে হারের মুখ দেখতে হয়নি। ২০১৩ সালে বস্তার এলাকায় তিনি মাওবাদী হানার মুখে পড়েছিলেন। সেই হামলায় রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী কংগ্রেসের মহেন্দ্র কর্মা, ছত্তিসগড়ের কংগ্রেস সভাপতি নন্দকুমার প্যাটেল ও বিদ্যাচরণ শুক্লা নিহত হয়েছিলেন।


আরও পড়ুন: ‘সাফল্যের কৃতিত্ব নিতে চাইলে ব্যর্থতার দায়ও নিতে হবে’, মোদী-শাহকে তোপ গড়করির 


আশ্চর্যজনকভাবে বেঁচে যান লাখমা। তাঁর সঙ্গে ওই হামলার যোগসাজশ থাকার অভিযোগ উঠেছিল। সেই কারণেই তাঁকে মারা হয়নি বলে অভিযোগ। কিন্তু অভিযোগ বরাবর অস্বীকার করে এসেছেন তিনি। যদিও এর প্রভাব কখনও তাঁর রাজনৈতিক জীবনে পড়েনি।


তাই এবারও তিনি ভোটের টিকিট পেয়েছিলেন। এ নিয়ে তিনি ছ'বার জিতে বিধায়ক হয়েছেন। ১৫ বছর পর এবার কংগ্রেস ছত্তিসগড়ে ক্ষমতায় ফিরেছে। ফলে মন্ত্রিত্ব শিকে ছিঁড়েছে লাখমার। কিন্তু মন্ত্রিত্বে তাঁর শুরুটা ভালো যে হল না, তা বলা যেতেই পারে।


আরও পড়ুন:


তবে এসব নিয়ে চিন্তিত নন লাখমা নিজে। এমনকী, তাঁর নিরক্ষরতার জেরে তিনি দফতরের গুরুত্বপূর্ণ ফাইলগুলি কীভাবে দেখবেন, তা নিয়ে ভেবে বিন্দুমাত্র সময় নষ্ট করতে রাজি নন লাখমা। তাঁর কথায়, বিধায়ক থাকাকালীন যখন কোনও সমস্যা হয়নি, তখন এবারও কোনও সমস্যা হবে না।