তেলের দরে লাগাম পরাল কেন্দ্র, প্রকাশ্যে সরকারি দ্বিচারিতা
ফেটে গেল বিনিয়ন্ত্রিতকরণের ঢাক। ভোটের মুখে জ্বালানি তেলের দামে হাত পোড়ার উপক্রম হতেই নাক গলাল সরকার। সূত্রের খবর, রাষ্ট্রায়ত্ত তেল সংস্থাগুলিকে জ্বালানি তেলের দর আর না-বাড়াতে নির্দেশ দিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। লক্ষ্য অবশ্যই ২০১৯-এর লোকসভা নির্বাচন।
ওয়েব ডেস্ক: ফেটে গেল বিনিয়ন্ত্রিতকরণের ঢাক। ভোটের মুখে জ্বালানি তেলের দামে হাত পোড়ার উপক্রম হতেই নাক গলাল সরকার। সূত্রের খবর, রাষ্ট্রায়ত্ত তেল সংস্থাগুলিকে জ্বালানি তেলের দর আর না-বাড়াতে নির্দেশ দিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। লক্ষ্য অবশ্যই ২০১৯-এর লোকসভা নির্বাচন।
২০১০ সালে পেট্রোলের দাম বিনিয়ন্ত্রিত করে ইউপিএ সরকার। ২০১৪ সালে ডিজেলের দাম বিনিয়ন্ত্রিত করে মোদী সরকার। সরকারের যুক্তি ছিল, লোকসান রুখতে তেলের দর পর্যালোচনা করবে তেল সংস্থাগুলিই। তার পর থেকে নানা চড়াইউতরাইয়ের মধ্যে দিয়ে গিয়েছে তেল সংস্থাগুলি। আন্তর্জাতিক বাজারে ক্রমশ বেড়েছে তেলের দর। ২০১৬ সালে ২৭ ডলার থেকে বেড়ে ২০১৮তে তা দাঁড়িয়েছে ৭০ ডলারে।
এবার স্মার্টফোনে লাগানো যাবে SLR ক্যামেরার লেন্স, জেনে নিন কী ভাবে?
তেল সংস্থাগুলির দাবি, বর্তমান পরিস্থিতিতে লিটাপিছু ১ টাকা করে লোকসান হচ্ছে তাদের। এই পরিস্থিতিতে পর পর মঙ্গলবার যথাক্রমে ৭.৬ শতাংশ ও ৮.৩ শতাংশ হারে হ্রাস পেয়েছে ইন্ডিয়ান অয়েল ও এইচপিসিএল-এর শেয়ারের দর।
প্রশ্ন উঠছে, অন্য সময় জ্বালানি তেলের দাম বাড়লে 'নিয়ন্ত্রণ নেই' বলে দায় ঝাড়ে সরকার। তাহলে এক্ষেত্রে কেন হস্তক্ষেপ। বামপন্থী অর্থনীতিবিদদের মতে, পুরোটাই সাধারণ মানুষের চোখে ধুলো দেওয়ার চেষ্টা। ভোটের মুখে তেলের দরবৃদ্ধিতে লাগাম পরিয়ে সরকার প্রমাণ করল, ইচ্ছা করলে সাধারণ মানুষের কথা ভেবে আগেও হস্তক্ষেপ করতে পারত তারা।