Manipur Violence: অত্যন্ত সংবেদনশীল বিষয়, বিভীষিকার মণিপুর নিয়ে সংসদের মুখ খুললেন শাহ
Manipur Violence: বিরোধীদের বিক্ষোভ নিয়ে আজ প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং বলেন, মণিপুরের বিষয়টি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। খোদ প্রধানমন্ত্রী বলেছেন মণিপুরে যা হয়েছে তাতে দেশের মাথা হেঁট হয়ে গিয়েছে। সংসদের এনিয়ে আমরা আলোচনা চাই
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: অপেক্ষাতেই ছিল বিরোধীরা। সোমবার মণিপুরের হিংসা নিয়ে উত্তাল হল লোকসভা। পাশাপাশি সংসদ ভবনের বাইরে মণিপুর ইস্যুতে তোলপাড় করল বিরোধী 'ইন্ডিয়া' জোট। তবে লোকসভায় তুমুল হই হট্টগোলের মধ্য়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জানিয়ে দিলেন মণিপুর নিয়ে আলোচনা চায় সরকার। বুঝতে পারছি না কেন বিরোধীরা অধিবেশনে বাধা দিচ্ছে।
আরও পড়ুন-ফের জ্বলল স্কুল, প্রাণভয়ে পালাচ্ছেন মেইতেইরা! মণিপুর ইস্যুতে উত্তাল সংসদ
টানা ২ মাসেরও বেশি সময় ধরে জাতিদাঙ্গার বিধ্বস্ত মণিপুর। নগ্ন করে ২ মহিলাকে হাঁটানো, রাস্তায় কাটা মুন্ড ঝুলিয়ে রাখা একাধিক গা শিউরে ওঠার মতো ঘটনা সামনে আসছে। গত ২৮ মে কাকচিং জেলায় এক স্বাধীনতা সংগ্রামীর বৃদ্ধা স্ত্রীকে ঘরে তালা দিয়ে জ্বালিয়ে দেওয়া হয়েছে। এরকম এক পরিস্থিতিতে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে সবর হল কংগ্রেস, তৃণমূল, এনসিপি, সিপিএম, আপ সাংসদরা। তাঁদের দাবি, সংসদের উভয় কক্ষতেই মণিপুর নিয়ে বিবৃতি দিতে হবে প্রধানমন্ত্রীকে।
সোমবার লোকসভার অধিবেশ শুরু হতেই উত্তাল হয়ে ওঠে লোকসভা। প্রবল স্লোগানের মধ্যেই স্পিকার ওম বিড়লা সাংসদদের উদ্দেশ্যে বলেন, আপনারা ২-৩ দিন থেকে মণিপুর নিয়ে আলোচনার দাবি করছেন। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আজ সদনে এসেছেন। উনি এনিয়ে বলবেন। ওই কথা শুনেই হইচই করে ওঠেন বিরোধীরা। তার মধ্যেই অমিত শাহ বলতে শুরু করেন, বিরোধী সাংসদদের প্রতি আমার বক্তব্য, অত্যন্ত সংবেদনশীল বিষয়ে বহু সাংসদ আলোচনা চাইছেন। বিষয়টি নিয়ে আমি সংসদে আলোচনা তৈরি করতে প্রস্তুত। বুঝতে পারছি না বিরোধীরা এনিয়ে আলোচনা করতে দিচ্ছে না কেন? বিরোধীদের প্রতি আমার অনুরোধ, আলোচনা হতে দিন। গুরুত্বপূর্ণ এই বিষয় নিয়ে গোটা দেশ সত্যিটা জানুক। এটা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
এদিন লোকসভার স্পিকারের সঙ্গে সাক্ষাত করেন অমিত শাহ। মণিপুরের হিংসা নিয়ে তাঁদের মধ্যে কথা হয় বলে খবর। তারপরই বিষয়টি আজ লোকসভায় তোলেন ওম বিড়লা। মণিপুরে অশান্তি নিয়ে সংসদের দুই কক্ষেই আজ তোলপাড় করে বিরোধীরা। স্বভাবতই এনিয়ে কিছুটা কোণঠাসা সরকার। বিরোধীদের বিক্ষোভ নিয়ে আজ প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং বলেন, মণিপুরের বিষয়টি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। খোদ প্রধানমন্ত্রী বলেছেন মণিপুরে যা হয়েছে তাতে দেশের মাথা হেঁট হয়ে গিয়েছে। সংসদের এনিয়ে আমরা আলোচনা চাই। কিন্তু কিছু বিরোধী দল সংসদের অবাঞ্ছিতভাবে গোলমাল সৃষ্টি করছে যাতে কোনও আলোচনা না হয়। বিরোধীরা এনিয়ে একেবারেই আন্তরিক নয়।
এদিকে, সংসদের বাইরে আজ মণিপুর নিয়ে বিক্ষোভ দেখান বিরোধী ইন্ডিয়া জোটের সাংসদরা। গান্ধীমূর্তির পাদদেশে বিক্ষোভ দেখান তাঁরা। সংসদের উভয় কক্ষে প্রধানমন্ত্রীর বিবৃতির দাবি করেন তাঁরা। ওই বিক্ষোভ নিয়ে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্য়ায় বলেন, তিন মাস ধরে মণিপুরে হিংসা চলছে। এনিয়ে প্রধানমন্ত্রী অবস্থান কী তা স্পষ্ট করতে হবে। পনেরশো কোটি টাকা খরচ করে সংসদ ভবন তৈরি করা হয়েছে। সরকার সেখানে আলোচনাই চায় না। বাংলায় তো ইন্টানেট চলছে। আপনার যদি মনে হয় বাংলার পরিস্থিতি মণিপুরের থেকেও খারাপ তাহলে মণিপুরে ইন্টারনেট চালু করুন। ডবল ইঞ্জিনের সরকারের রাজ্যে তিন মাস ধরে ইন্টারনেট বন্ধ। এর থেকেই বোঝা যায় ডবল ইঞ্জিনের সরকার কতটা অপদার্থ। অন্যদিকে, বিরোধী সাংসদদের বিক্ষাভ নিয়ে তৃণণূল সাংসদ সৌগত রায় বলেন, আমরা চাই প্রধানমন্ত্রী এসে সংসদে মণিপুর নিয়ে বিবৃতি দিন। বিজেপির কাজই হল মিথ্যে কথা রটানো।