নিজস্ব প্রতিবেদন : দেশের ৪ রাজ্যের করোনা পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করল সুপ্রিম কোর্ট। বিচারপতি এম আর শাহ, বিচারপতি অশোক ভূষণ ও বিচারপতি সঞ্জয় কিষাণ কাউলের ডিভিশন বেঞ্চ এদিন স্পষ্ট জানায়, মহারাষ্ট্র, তামিলনাড়ু, দিল্লি ও পশ্চিমবঙ্গের অবস্থা অত্যন্ত উদ্বেগজনক। মানা হচ্ছে না করোনায় মৃত্যুর ক্ষেত্রে দেহ সৎকারের গাইডলাইন। ঠিকমতো টেস্টিংও হচ্ছে না। দেশের ৪ রাজ্যের করোনা পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বিগ্ন সুপ্রিম কোর্ট এরপরই স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে কেন্দ্রীয় সরকার সহ মহারাষ্ট্র, তামিলনাডু, দিল্লি ও পশ্চিমবঙ্গ সরকারকে নোটিস পাঠিয়েছে।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

বিচারপতি অশোক ভূষণ তাঁর পর্যবেক্ষণে বলেন, হাসপাতালগুলির অবস্থা খুবই খারাপ। ইতিমধ্যেই করোনায় বহু মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন। যাঁরা এখনও জীবিত আছেন, এই পরিস্থিতিতে তাঁদের নিয়েই বেশি উদ্বিগ্ন আদালত। হাসপাতালের ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে মৃতদেহ পড়ে রয়েছে। কোনও কোনও রাজ্যে দেহ আর্বজনার স্তূপে ফেলে দেওয়া হচ্ছে। মৃতদেহগুলিকে পশুর লাশের মতো 'ট্রিট' করা হচ্ছে। এমনকি করোনায় আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর ক্ষেত্রে মৃতদেহের সৎকারের গাইডলাইনও ঠিকমতো মানা হচ্ছে না বলে জানায় শীর্ষ আদালত। বিচারপতিরা বলেন, করোনায় মৃতদেহ দেহ কীভাবে সৎকার হবে, তা নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকার ১৫ মার্চ একটি গাইডলাইন দিয়েছিল। কিন্তু কেউ সেই নির্দেশিকা মানছে না। এমনকি আত্মীয় পরিজনরা রোগীর মৃত্যুর খবর পর্যন্ত পাচ্ছেন না। পরিস্থিতি অত্যন্ত উদ্বেগজনক।


দিল্লিতে করোনা টেস্টিং কম হওয়া নিয়েও এদিন উদ্বেগ প্রকাশ করেন বিচারপতিরা। মুম্বইতে যেখানে দিনে ১৬ থেকে ১৭ হাজার টেস্ট হচ্ছে, সেখানে দিল্লিতে কেন ৭০০০-এরও কম টেস্ট হচ্ছে? প্রশ্ন তোলেন তাঁরা। দিল্লিতে টেস্টিংয়ের সংখ্যা অত্যন্ত কমে গিয়েছে, অবিলম্বে টেস্টিং বাড়ানোর নির্দেশ দেয় আদালত। পাশাপাশি সুপ্রিম কোর্টের স্পষ্ট নির্দেশ, কোনও অজুহাতে কেউ যেন টেস্টিং করতে বাধা না দেয় বা টেস্টিংয়ে বাধা না পড়ে তা নিশ্চিত করতে হবে।


আরও পড়ুন, 'করোনার সঙ্গে যুদ্ধে দেশ কোনও অসন্তুষ্ট যোদ্ধা চায় না', সব সরকারকে কড়া 'সুপ্রিম' নির্দেশ


লকডাউনে কর্মীদের বেতন দিতে না পারায় কোম্পানির বিরুদ্ধে এখনই কোনও ব্যবস্থা নয় : 'সুপ্রিম' নির্দেশ