সাধারণদের জন্য ১০ শতাংশ সংরক্ষণ চালু হয়ে গেল প্রধানমন্ত্রীর রাজ্যে
বিলটির সাংবিধানিক বৈধতাকে চ্যালেঞ্জ করে মামলা দায়ের হয়েছে সুপ্রিম কোর্টে
নিজস্ব প্রতিবেদন: লোকসভা ভোটের মুখে সাধারণদের মধ্যে আর্থিকভাবে দুর্বলদের জন্য ১০ শতাংশ সংরক্ষণ দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছিল কেন্দ্র। এনিয়ে বিলও আনা হয়। রাষ্ট্রপতির সাক্ষরের পর এখন আইনে পরিণত হয়েছে সেই বিল। সোমবার ১৪ জানুয়ারি থেকে প্রধানমন্ত্রীর রাজ্যে তা চালু করে দিল বিজয় রুপানি সরকার।
আরও পড়ুন-আমি ব্রাহ্মণ, গায়ত্রী মন্ত্র জপ করি: অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়
সাধারণদের জন্য শিক্ষা ও চাকরিতে ১০ শতাংশ সংরক্ষণ দিতে সংবিধানের ১৫ ও ১৬ নম্বর ধারা সংশোধন করা হয়। এক্ষেত্রে সংরক্ষণ দেওয়া হবে সেইসব মানুষদের যাদের আয় বছরে ৮ লাখ টাকা পর্যন্ত বা জমির পরিমাণ ৫ একরের কম। রবিবার গুজরাট সরকার এক বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, ১৪ জানুয়ারি থেকে রাজ্যে সাধারণদের মধ্যে আর্থিকভাবে দুর্বলরা শিক্ষা ও চাকরিতে ১০ শতাংশ সংরক্ষণের সুবিধা পাবেন।
গুজরাট সরকারের ওই বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয়েছে ১৪ জানুয়ারির আগে যেসব চাকরির পরীক্ষার বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়েছে তাদের ক্ষেত্রেও ওই সংরক্ষণ নীতি কার্যকর হবে। তবে ওইসব পরীক্ষার বিজ্ঞপ্তি নতুন করে প্রকাশ করতে হবে। তবে যেসব নিয়োগ বা পরীক্ষা ইতিমধ্যেই শুরু হয়ে গিয়েছে সেইসব ক্ষেত্রে ১০ শতাংশ সংরক্ষণের নিয়ম লাগু হবে না।
আরও পড়ুন-বাড়তি বলবেন না, দরকারে মুকুলের সঙ্গে কথা বলুন, রাহুল-দিলীপকে নির্দেশ অমিতের
এদিকে, বিলটির সাংবিধানিক বৈধতাকে চ্যালেঞ্জ করে মামলা দায়ের হয়েছে সুপ্রিম কোর্টে। শীর্ষ আদালতে মামলাকারীর বক্তব্য, সুপ্রিম কোর্টের বেঁধে দেওয়া সংরক্ষণের ৫০ শতাংশ সীমা ছাড়িয়ে গিয়েছে ওই সংরক্ষণের ফলে। ইউথ ফর ইক্যুয়ালিটি নামের একটি সংস্থার সভাপতি কৌশলকান্ত মিশ্র আর্জি করেছেন, বিলটি পাশের ফলে সংরক্ষণ ৬০ শতাংশে পৌঁছে যাবে। এতে সুপ্রিম কোর্টের রায় লঙ্ঘন করা হয়েছে। এর পাশাপাশি আর্থিকভাবে সংরক্ষণ সংবিধানের অবমাননা বলেও দাবি করেছেন কৌশলকান্ত।