কবরস্থানেই চায়ের দোকান, কফিনবন্দি দেহের পাশে বসেই চলে `চায়ে পে চর্চা`
২৬টি কবরের উপর তৈরি এই চায়ের দোকানটি ১৯৫০ সালে তৈরি হয়েছিল, যেখানে সাধারণ মানুষের পাশাপাশি কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধীও বান মাস্কা খেয়েছেন। তারক মেহতা সিরিয়ালের শুটিংও হয়েছিল এই ঐতিহাসিক দোকানে।
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: গুজরাট নির্বাচনের জন্য বিজেপি, কংগ্রেস এবং আম আদমি পার্টি তিন জনই তাদের পূর্ণ শক্তি দিয়ে ঝাঁপিয়েছে। সব বড় নেতারা ভোটারদের আকৃষ্ট করতে সম্ভাব্য সব রকমের চেষ্টা করছেন। বড় বড় প্রতিশ্রুতি দেওয়া হচ্ছে। যেখানে একদিকে বিজেপির সামনে ক্ষমতা ফিরে আসার চ্যালেঞ্জ সেখানেই, কংগ্রেস এবং আম আদমি পার্টি বিজেপির দুর্গে ধস নামানোর প্রস্তুতি নিচ্ছে। গুজরাটে দুই দফায় এক এবং পাঁচ ডিসেম্বর ভোটগ্রহণ হবে। ফলাফল ঘোষণা করা হবে আট ডিসেম্বর। গুজরাটে নির্বাচনের মরসুমের মধ্যেই আহমেদাবাদে সারা ফেলে দিয়েছে কবরের চায়ের দোকান। হ্যাঁ আপনি ঠিক পড়েছেন। কী এই দোকানের বিশেষত্ব।
চা এমন একটি শব্দ যা শুনলেই মনে হয় সতেজতা। অফিস হোক অথবা দোকান, বাড়ি হোক অথবা এলাকার কোনও দোকান সব যায়গাতেই দেখা যায় এক কাপ চা নিয়ে বসে আছে মানুষ। কারণ চা প্রেমীদের সংখ্যা হাজারে নয় কোটিতে।
কিন্তু আপনি কি কখনো কবরের পাশে বসে চা খাওয়ার কথা ভেবেছেন? অবশ্যই শুনতে খুব অদ্ভুত লাগলেও আহমেদাবাদের মানুষের কাছে এটা একেবারেই স্বাভাবিক। এখানে প্রচুর সংখ্যক মানুষ প্রতিদিন চা পান করেন।
আরও পড়ুন: ভারতে ব্যবসা গোটাচ্ছে অ্যামাজন, বন্ধ হছে তিনটি পরিষেবা
২৬টি কবরের উপর তৈরি এই চায়ের দোকানটি ১৯৫০ সালে তৈরি হয়েছিল, যেখানে সাধারণ মানুষের পাশাপাশি কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধীও বান মাস্কা খেয়েছেন। চায়ের দোকানের মালিক রাজ্জাক মনসুরী জানান, এখানকার মানুষ খুব আনন্দে চা খায়। শুধু তাই নয়, তারক মেহতা সিরিয়ালের শুটিংও হয়েছিল এই ঐতিহাসিক দোকানে।
চায়ের স্টলে পরিবেশ খুবই মনোরম এবং বর্তমানে সেখানে আসন্ন নির্বাচনী পরীক্ষা নিয়ে সবাই খোলাখুলি মত প্রকাশ করেন। এখানে কর্মরত কর্মচারী জানান, কবরের পাশে চা পান করে মানুষ স্বস্তি পায়।
বিখ্যাত চিত্রশিল্পী এম এফ হুসেনও 'দ্য নিউ লাকি রেস্তোরাঁ' তে চা খেতে আসতেন। তিনি এই রেস্তোরাঁর এমনই ভক্ত ছিলেন যে এই দোকানে বসেই তিনি অনেক চিত্রকর্ম তৈরি করেন।