নিজস্ব প্রতিবেদন: সরকারি অফিসে দিনের পর দিন ছুটির কারণ জানতে চাওয়া হলে গুজরাটের বাসিন্দা রমেশ চন্দ্র ফেফার জানিয়েছিলেন, তিনি সাধারণ মানুষ নন। তাঁর ছুটি লাগবেই। কারণ তিনি ভগবান। তিনি  ভগবান বিষ্ণুর কল্কি অবতার। তিনি পৃথিবীতে এসেছেন। তাই গতে ধরা আর পাঁচটটা কর্মচারীর মতো  ছুটি হলে ওনার চলবে না। এই অদ্ভুত কারণ যে ভুল এবং মানা সম্ভব নয়, তাঁকে বহুবার বোঝানো হলেও তিনি নিজের মন্তব্যেই স্থির ছিলেন। তাই সময়ের আগে তাঁকে অবসর দিতে হয়। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

গুজরাটের জলসম্পদ বিভাগের সুপারিন্টেন্ডেন্ট ইঞ্জিনিয়ার ছিলেন রমেশ চন্দ্র ফেফার। ছয় মাসে মাত্র ১৮ দিন অফিস করার মতো রেকর্ড আছে তাঁর। কিন্তু এখন তিনি অভিশাপ দেওয়ার কথা তুলেছেন। কারণ, তাঁর  গ্র্যাচুইটি (Gratuity)-র টাকা কোনও কারণে আটকে গিয়েছে। সেটি না পেলে গোটা বিশ্বে তিনি খরার সৃষ্টি করে দেবেন! এমন ক্ষমতা রয়েছে নাকি ভগবান বিষ্ণুর কল্কি অবতার রমেশ চন্দ্র ফেফারের। 


কিন্তু কেন টাকা পাচ্ছেন না রমেশ চন্দ্র ফেফার? 


জলসম্পদ বিভাগের আধিকারিক জানিয়েছেন,  কাজ করেননি। তার ওপর বেতন চাইছেন। কারণ তিনি নাকি কল্কি অবতার ও পৃথিবীতে বৃষ্টিপাত আনার কাজ করছিলেন। মানসিক রোগের চিকিৎসার জন্য মেয়াদের আগে অবসর পেয়েছিলেন তিনি। কেন উনি অফিস আসতেন না সেই তদন্ত চলাকালীন অবসর কেউ নিতে পারেন না।


দীর্ঘদিন অফিসে না যাওয়ার কারণে শো-কজ নোটিসে তিনি জানান, তিনি পৃথিবীতে বৃষ্টিপাত ঘটান। অনেক চাপ। তাই অফিস আসতে পারেন না। এখন গ্র্যাচুইটির টাকা পাওয়ার জন্য তিনি হুমকি দিয়ে জানিয়েছেন, যেমন বৃষ্টিপাত ঘটাতে পারেন, তেমন খরাও। 


জানা গিয়েছে জলসম্পদ বিভাগের প্রধান আধিকারিককে চিঠিতে জানান, "সরকারের চেয়ারে বসে আছেন শয়তানরা। তাঁর টাকা দিচ্ছে না।  ভগবান বিষ্ণুর কল্কি অবতারকে হেনস্থা করছেন। যদি পাওনা টাকা না পাই, তাহলে সারা বিশ্বে খরা সৃষ্টি করে দেব।  ২০ বছরে একবারও খরা হয়নি। ভাল বৃষ্টিপাতের জন্য ২০ লক্ষ কোটি টাকা লাভ করেছে দেশ। তা সত্ত্বেও আমায় টাকা দিচ্ছে না। আমি বিষ্ণুর দশম অবতার, সত্যযুগে আমার শাসন চলে। টাকা না পেলে খরা করে দেব।"