Gujarat Poisonous Liquor Scandal: নিষেধাজ্ঞা উড়িয়ে রমরমা কারবার গুজরাটে, বিষমদ খেয়ে মৃত ২৪
Gujarat Poisonous Liquor Scandal: বিজেপি শাসিত গুজরাটে বিষমদ খেয়ে মৃত্যু হয়েছে ২৪ জনের। যদিও গুজরাটে মদের কারবার নিষিদ্ধ। এসত্ত্বেও রাজ্যে রমরমিয়ে চলছিল নিষিদ্ধ মদের কারবার। গ্রামের প্রধান পুলিসকে বার বার জানালেও এই বিষয় কোনও পদক্ষেপ করেনি তারা এমনটাই অভিযোগ উঠেছে। কিছুদিন আগেই পশ্চিমবঙ্গে পর পর দুটি এমন ঘটনা ঘটে। বিশ্মদ খেয়ে মৃত্যু হয় বেশ কিছু মানুষের। সেই সময় এই ঘটনায় রাজ্যে বিক্ষোভ দেখান বিজেপির নেতা এবং কর্মীরা।
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: গুজরাটের ধুন্দুকা-বারওয়ালায় বিষাক্ত মদ খেয়ে মৃত্যুর অভিযোগে ২০ জনের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। গ্রেফতার করা হয়েছে ৫ জনকে এবং ২০ জনকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। জড়িতদের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের করা হবে বলেও জানা গিয়েছে। বোতাদ-বারওয়ালায় দেশি মদ খেয়ে মৃত্যুর ঘটনায় এখনও পর্যন্ত মোট ২৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। বারওয়ালা তালুক থেকে ১৫ জন এবং ধাদুকা তালুকে নয় জনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। রাসায়নিক সরবরাহকারী টেম্পোটি পুলিস আটক করেছে বলেও জানা গিয়েছে। এই ঘটনায় মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলেও জানানো হয়েছে।
বোটাদ জেলার পুলিশ বারওয়ালা তালুক গ্রামে এই বিষমদ খাওয়া মানুষদের অনুসন্ধান এবং চিকিৎসা শুরু করেছে। বোটাদের এই বিষমদ কান্ডের তদন্তের জন্য একটি বিশেষ তদন্ত দল (SIT) গঠন করা হয়েছে। বিভিন্ন দিক থেকে এই মামলার তদন্ত করছে এই দল।
এর আগে চিকিৎসাধীন এক রোগী স্ত্রী সাংবাদিকদের জানান, রোববার রাতে রোজিদ গ্রামে মদ খাওয়ার কয়েক ঘণ্টা পরই তার স্বামীর অবস্থার অবনতি হতে থাকে। একই সময়ে, অন্য একজন দাবি করেছেন যে রবিবার রাতে একজন চোরাকারবারির কাছ থেকে কেনা মদ খেয়ে কমপক্ষে ১৫ জন অসুস্থ হয়ে পড়েন।
ঘটনার পর সন্ধ্যায় বোটাদ সিভিল হাসপাতাল পরিদর্শন করেন ভাবনগর রেঞ্জের আইজি অশোক কুমার যাদব। তিনি বলেন, ঘটনার তদন্তে ডিএসপি পর্যায়ের কর্মকর্তার নেতৃত্বে একটি বিশেষ তদন্ত দল (এসআইটি) গঠন করা হবে। এদিকে, সোমবার দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল গুজরাটে বিষাক্ত মদের ট্র্যাজেডিকে দুর্ভাগ্যজনক বলে অভিহিত করেছেন।
উল্লেখযোগ্যভাবে, গুজরাটে মদ বিক্রিতে নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। মদ বিক্রি, বিতরণ অথবা সেবনের ক্ষেত্রে কঠোর পুলিসি ব্যবস্থা নেওয়া হয় সেই রাজ্যে। কিছুদিন আগেই পশ্চিমবঙ্গে বিষমদ খেয়ে মৃত্যুর ঘটনা ঘটে পশ্চিমবঙ্গে।
বিষমদ খেয়ে বর্ধমানের বাহির সর্বমঙ্গলাপাড়ায় গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েন ৫ জন। আশঙ্কাজনক অবস্থায় বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজে নিয়ে যাওয়া হলে একজনকে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিত্সকেরা। অন্যদিকে, চিকিত্সা চলাকালীন মৃত্যু হয় সেখ আমিন নামে এক ব্যক্তির। পরেরদিন আরও ২ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে খবর।
আরও পড়ুন: Video: পাবে হাতাহাতি! যুবককে বেধড়ক মার, পিঠে ফুলের টব ভাঙলেন দুই মহিলা
বর্ধমানের পরে হাওড়ায় বিষমদের বলি হন সাত জন। হাওড়ার ঘুসুড়ির মালিপাঁচঘড়ায় বিষমদ খেয়ে সাত জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া যায়। অসুস্থদের স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
এই ঘটনার পরে রাজ্যে বিক্ষোভ দেখায় বিজেপি। সরকারের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলে তারা জানায় এই ঘটনায় কোনও ব্যবস্থা নেয়নি সরকার। এরপরে গুজরাটের ঘটনার পরে সুর চরান শুরু করেছে বিরোধীরা। আপ নেতা অরবিন্দ কেজরিওয়াল জানিয়েছেন, “গুজরাটে নিষেধাজ্ঞা আছে কিন্তু গুজরাটে প্রচুর অবৈধ মদ পাওয়া যায়। কারা এই অবৈধ ও নকল মদ বিক্রি করে? যারা বিক্রি করে তারা সরকারি সুরক্ষা পায়। টাকা কোথায় যায়? গুজরাটের বিষমদের ঘটনার তদন্ত হওয়া উচিত।”