ওয়েব ডেস্ক: আটচল্লিশ ঘণ্টা পরও সংরক্ষণের দাবিতে উত্তাল গুজরাত। রাতভর বিক্ষোভকারী-পুলিস সংঘর্ষে রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় আমেদাবাদ, সুরাট, মেহসানা। এখনও পর্যন্ত এক পুলিস কর্মী সহ মৃত্যু হয়েছে আটজনের।  


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

শহরজুড়ে শুরু হয়েছে সেনার ফ্ল্যাগ মার্চ। ভোররাতে পুলিসের সঙ্গে সংঘর্ষ চলাকালীন মৃত্যু হয় পাঁচজনের। সকালে উত্তর গুরাতের পালানপুরে মৃত্যু হয় আরও দুজনের। প্রত্যক্ষদর্শীদের মতে, এদের মধ্যে পুলিসের গুলিতে মৃত্যু হয়েছে চারজনের। মঙ্গলবার থেকেই আমেদাবাদ ও সুরাটে জারি হয়েছে কার্ফু। বন্ধ রয়েছে সমস্ত স্কুল ও কলেজ।


গুজরাত পুলিসের পাশাপাশি ৫৩ কোম্পানী আধাসামরিক বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে আমেদাবাদ, সুরাট, রাজকোট, জামনগরসহ একাধিক জায়গায়। বিক্ষোভের আঁচ পড়েছে রাজ্যের রেল পরিষেবাতেও। রাজধানী সহ আমেদবাবাদ থেকে দিল্লিগামী মোট নয়টি ট্রেন ইতিমধ্যেই বাতিল করা হয়েছে। ১৯টি ট্রেনের রুট পরিবর্তন করা হয়েছে। অন্যদিকে আজ ফের গুজরাত বনধের ডাক দিয়েছেন হার্দিক প্যাটেল।


যদিও প্যাটেলদের সংরক্ষণের দাবি মানা সম্ভব নয় বলে জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী আনন্দীবেন প্যাটেল। সুপ্রিম কোর্টে নির্দেশানুযায়ী গুজরাতে এমনিতেই ৫০ শতাংশ সংরক্ষণের নিয়ম রয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি। এই পরিস্থিতিতে সব রকম সাহায্যের আশ্বাস দিয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিং। গতকালই রাজ্যে শান্তি বজায় রাখার আবেদন জানান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। আলোচনার মাধ্যমে সমস্যা সমাধানের আর্জি জানিয়েছেন তিনি।