Har Ghar Tiranga campaign: `দেশের স্বাধীনতা যাঁরা আরএসএস-এর অবদান নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন, তাঁদের ক্লাস করাবে বিজেপি`
Har Ghar Tiranga campaign: তেজস্বী সূর্য বলেন, `দুঃখের বিষয় হল, গত ৭৫ বছর ধরে আমাদের একই ধরনের ইতিহাস পড়ানো হয়েছে। যেখানে কেবলমাত্র একটা নির্দিষ্ট পরিবারের গুনগান করা হয়েছে। ইচ্ছাকৃত ভাবে বাল গঙ্গাধর তিলক, সাভারকর, বাবাসাহেব আম্বেদকর এবং সর্দার প্যাটেলদের অবদানকে ভুলিয়ে রাখা হয়েছিল। আজাদি কা অমৃৎ মহোৎসব` উপলক্ষে তাঁদের জন্য বিশেষ ক্লাসের আয়োজন করব আমারা।`
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: এবার স্বাধীনতার ৭৫ বছর পালন করছে গোটা দেশ। সেই উপলক্ষে 'আজাদি কি আমৃত মহোৎসব' (Azadi Ka Amrit Mahotsav) কর্মসূচি নিয়েছে কেন্দ্রীয়। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদর (PM Narendra Modi) নির্দেশে দেশজুড়ে 'তেরঙ্গা যাত্রা'র (Har Ghar Tiranga) সূচনা হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে বিজেপি (BJP) এবং আরএসএস-এর (RSS) দেশভক্তি নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে বিরোধীদের একাংশ। যাঁদের কড়া ভাষায় উত্তর দিলেন বিজেপি যুব মোর্চার সর্বভারতীয় সভাপতি তেজস্বী সূর্য (Tejasvi Surya)। একই সঙ্গে গান্ধী পরিবারের বিরুদ্ধে তোপ দাগেন এবং স্বাধীনতা অর্জনে বাল গঙ্গাধর তিলক, সাভারকর এবং সর্দার বল্লভ ভাই প্যাটেলের অবদানের কথা তুলে ধরেন তিনি।
তেজস্বী সূর্য বলেন, "দুঃখের বিষয় হল, গত ৭৫ বছর ধরে আমাদের একই ধরনের ইতিহাস পড়ানো হয়েছে। যেখানে কেবলমাত্র একটা নির্দিষ্ট পরিবারের গুনগান করা হয়েছে। ইচ্ছাকৃত ভাবে বাল গঙ্গাধর তিলক, সাভারকর, বাবাসাহেব আম্বেদকর এবং সর্দার প্যাটেলদের অবদানকে ভুলিয়ে রাখা হয়েছিল। আজাদি কা অমৃৎ মহোৎসব' উপলক্ষে তাঁদের জন্য বিশেষ ক্লাসের আয়োজন করব আমারা।" তিনি আরও দাবি করেন, ধারা ৩৭০ অবলুপ্তির পর কাশ্মীরে জাতীয়তাবোধের জোয়ার এসেছে। বিজেপি যুব মোর্চার সর্বভারতীয় সভাপতি বলেন, "যখন কাশ্মীরে ধারা ৩৭০ লাগু ছিল তখন প্রকাশ্যে জাতীয় পতাকার অবমাননা করা হয়। কিন্তু এই ধারার অবলুপ্তির পর কাশ্মীরের মহিলারা স্বাধীন ভাবে জাতীয় পতাকা ওড়াচ্ছেন।"
২০১৯ সালে কাশ্মীর থেকে ধারা ৩৭০-এর অবলুপ্তি ঘটে। পরে জম্মু-কাশ্মীরকে দুটি পৃথক কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে ভেঙে দেওয়া হয়। একটি জম্মু-কাশ্মীর এবং অপরটি লাদাখ। স্বাধীনতার ৭৫ বছরে উপত্যকার লালচক থেকে কার্গিল পর্যন্ত তিরঙ্গা যাত্রাও করেছে বিজেপির যুব মোর্চা।