নিজস্ব প্রতিবেদন: আসন্ন লোকসভা ভোটের বিজেপির বিরুদ্ধে মহাজোটের সওয়াল করলেন গুজরাটের পতিদার আন্দোলনের নেতা হার্দিক পটেল। তাঁর আশঙ্কা, আঞ্চলিক দলগুলি জোট না করলে ২০১৯ সালের পর আর নির্বাচনই হবে না।  


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

মহারাষ্ট্রের আলিবাগে একটি অনুষ্ঠানে হার্দিক পটেল বলেন,''২০১৯ মোদীর বিরুদ্ধে লড়াইয়ে নামবেন সাধারণ মানুষ। আমিও তাঁদের সঙ্গে রাস্তায় যোগ দেব''। তাঁর সংযোজন, সাধারণ মানুষকে সজাগ করাই তাঁর লক্ষ্য। কোনও রাজনৈতিক দলে যোগ দিতে চান না। অনেকেরই প্রশ্ন, ২০১৯ সালের আগে ফের পটেল সংরক্ষণের দাবিতে পথে নামার ইঙ্গিত দিলেন হার্দিক? পতিদার আন্দোলনের নেতা মনে করেন, মরাঠা ও ধাঙ্গার সম্প্রদায়ের দাবি পূরণে ব্যর্থ হলে ২০১৯ সালে দাম চোকাতে হবে বিজেপিকে। তবে মরাঠা মোর্চাকে রাজনৈতিক নাটক বলে কটাক্ষ করেছেন হার্দিক। তাঁর কথায়, ''এই মোর্চার থেকে ফায়দা তোলার চেষ্টা করবে প্রতিটি রাজনৈতিক দলই''। মহারাষ্ট্রে শিবাজির মূর্তি তৈরির বদলে কর্মসংস্থানের চেষ্টা করা উচিত বলে মনে করেন হার্দিক। 


চাকরি ও শিক্ষাক্ষেত্রে পটেল সংরক্ষণ ও কৃষকদের ঋণ মকুবের দাবিতে গতমাসে অনির্দিষ্টকালীন অনশনে বসেছিলেন হার্দিক পটেল। তবে ১৯ দিনেই অনশন ভঙ্গ করেন তিনি। দাবিপূরণ না হওয়া সত্ত্বেও কেন অনশন প্রত্যাহার করলেন? হার্দিক পটেলের ব্যাখ্যা, ''জীবিত থেকে লড়াই করে জেতা দরকারি ছিল''। তিনি আরও বলেন, ''সম্প্রদায়ের নেতারাই পরামর্শ দিলেন, বেঁচে থেকে লড়াই চালাতে হবে। লড়াই চালাতে পারলে আমরাই জিতব। তাঁদের কথা শুনেই সিদ্ধান্ত নিলাম, অনশন আর নয়। সরকারের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের তীব্রতা আরও বাড়াব''।                    


প্রসঙ্গত, গুজরাটে বিধানসভা নির্বাচনে কংগ্রেসের পাশে দাঁড়িয়েছিলেন হার্দিট পটেল। এমনকি কংগ্রেসের হয়ে প্রচারও করেছেন। মোদীর রাজ্যে এবার অল্পের জন্য বিজেপিকে হারাতে পারেনি রাহুল গান্ধীর দল।


আরও পড়ুন- মাত্র ৪০,০০০ টাকার এই বাইকে মাইলেজ প্রতি লিটারে ৯৫ কিলোমিটার