ওয়েব ডেস্ক : আজও অশান্ত হরিয়ানা। এখনও পর্যন্ত হিংসার বলি ১২। বিক্ষোভকারীদের তাণ্ডবে ক্ষতিগ্রস্থ মুনাক ক্যানাল। যার জেরে বিপর্যস্ত দিল্লির জল সরবরাহ। পরিস্থিতি সামাল দিতে কেন্দ্রের কাছে আরও সেনা পাঠানোর আর্জি জানিয়েছে হরিয়ানা সরকার।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

ফ্ল্যাগ মার্চ করছে সেনা। একাধিক জায়গায় জারি কারফিউ। তারপরও জ্বলছে হরিয়ানা।  শনিবার ঝাজ্জরে চারজনের মৃত্যু হয়। রাতে কৈথালে মারা যান আরও একজন। হিংসায় মৃতের সংখ্যা ক্রমেই বাড়ছে।


ঝিন্দ, রোহতক,সোনিপত, হিসারের একাধিক জায়গায় আজ রাতেও রাস্তা অবরোধ করেছে বিক্ষোভকারীরা। হরিয়ানা থেকে দিল্লি, পঞ্জাব, হিমালচল, জম্মু কাশ্মীর রাজস্থান ও চণ্ডীগড়ের সড়ক যোগাযোগ ব্যাহত। চরম দুর্ভোগে যাত্রীরা। একই হাল রেল পরিষেবারও। ১০টি স্টেশনে আগুন লাগানো, ট্রেন অবরোধের জেরে  পুরোপুরি ভেঙে পড়েছে ট্রেন চলাচল। এক হাজারেরও বেশি ট্রেন ইতিমধ্যেই বাতিল করা হয়েছে।


অন্যদিকে, দিল্লি হরিয়ানা সীমানায় মুনাক ক্যানালের কাছে বিক্ষোভকারীদের  হটাতে কাঁদানে গ্যাস ছোঁড়ে পুলিস। বিক্ষোভকারীদের তাণ্ডবে ক্ষতিগ্রস্থ মুনাক ক্যানাল। যার জেরে নির্জলা দিল্লি। জলের অভাবে অধিকাংশ ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্ট বন্ধ। পরিস্থিতির গুরুত্ব বিচার করে সোমবার সব সরকারি অফিস ও স্কুল বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছে কেজরিওয়াল সরকার। কেন্দ্রের কাছে সাহায্য চেয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল।


হরিয়ানার পরিস্থিতির জন্য খট্টর সরকারকে দায়ী করেছেন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ভূপিন্দর সিং হুডা। যন্তরমন্তরে অনশনে বসেন তিনি। খট্টর সরকারের সমালোচনায় সোচ্চার বিরোধী দল ইন্ডিয়ান ন্যাশনাল লোকদল। রাজ্যে রাষ্ট্রপতি শাসনের দাবি জানিয়েছে তারা।পরিস্থিতি সামাল দিতে কেন্দ্রে কাছে আরও সেনা ও আধা সামরিক বাহিনী চেয়েছে হরিয়ানা সরকার। সবমিলিয়ে জাঠ আন্দোলনের অষ্টম দিনেও বেহাল হরিয়ানা।