নিজস্ব প্রতিবেদন: হাথরস ধর্ষণকাণ্ডে নির্যাতিতার দেহ ঘর নিয়ে যেতে দেয়নি পুলিস। তার পরিবর্তে বিরাট পুলিস বাহিনী দিয়ে রাতের অন্ধকারেই দেহ পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছিল। ওই ঘটনায় দেশজুড়ে সমালোচনার নিশানায় চলে এসেছিলেন হাথরসের পুলিস সুপার ও জেলাশাসক। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

ঘটনার ৪ মাস পর এবার সেই জেলাশাসক প্রবীণ কুমার লক্সরকে সরিয়ে দিল রাজ্য সরকার। তবে রাজ্যের আরও ১৭ IAS অফিসারকেও বদলি করেছে যোগী আদিত্যনাথ সরকার। রাজ্যের মোট ১১ জেলার জেলাশাসককে বদলি করা হয়েছে। প্রবীণ কুমারের জায়গায় হাথরসের জেলাশাসক হচ্ছেন রমেশ রঞ্জন।


আরও পড়ুন-ভারতের প্রথম মনোলিথের খোঁজ আহমেদাবাদে, রহস্যের গন্ধ নতুন বছরের প্রথম দিনেই


উত্তপ্রদেশের(UP) হাথরসের(Hathras) ওই দলিত তরুণীর ধর্ষণকাণ্ডে যেমন গোটা দেশ তোলপাড় হয়েছিল, তেমনি সেইসময় জেলাশাসকের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন উঠে যায়। অভিযোগ ওঠে জেলাশাসক প্রবীণ কুমার নির্যাতিতা ওই দলিত তরুণীর বাড়িতে গিয়ে নাকি তার পরিবারের ওপরে বিভিন্নভাবে চাপ সৃষ্টি করেন । পাশাপাশি পরিবারের লোকজন যাতে সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলতে না পারে তারও ব্যবস্থা করেন।


আরও পড়ুন-আজই রাস্তা ফেরত নেবেন জেলাশাসক ও পুলিস সুপার, এদিকে নয়া বিতর্কে বিশ্বভারতী


হাথরস ধর্ষণকাণ্ডে অভিযুক্ত হয় গ্রামেরই ৪ উচ্চবর্ণের তরুণ। তাদের বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা নিতে না পারার অভিযোগেও উঠেছিল জেলাশাসক প্রবীণের বিরুদ্ধে। এনিয়ে সরব হয় এলাহাবাদ হাইকোর্টও। উল্লেখ্য, প্রথম দিকে হাথরস জেলা প্রশাসন মানতেই চায়নি যে ওই দলিত তরুণী গণধর্ষণের শিকার হন। শেষপর্যন্ত আদালতের চাপে ওই মামলার তদন্তভার যায় সিবিআইয়ের(CBI) হাতে।