নিজস্ব প্রতিবেদন- হাথরস কাণ্ডে নতুন মোড়। এবার ঘটনার একমাত্র প্রত্যক্ষদর্শী ছোটু নামক সেই যুবককে চিনতেই পারল না নির্যাতিতার পরিবারের লোকজন। গত কয়েকদিন ধরেই তদন্তের স্বার্থে হাথরসের বুলগড়ি গ্রামে নির্যাতিতার পরিবারের লোকজনের সঙ্গে কথা বলছেন সিবিআই আধিকারিকরা। সিবিআইয়ের গোটা একটি টিম বুলগড়ি গ্রামের বিভিন্ন জায়গায় ঘুরে দেখছে। ঘটনাস্থল পরিদর্শনের পর এদিন নির্যাতিতার বাড়িতে যান সিবিআইয়ের আধিকারিকরা। সেখানে প্রায় সাড়ে পাঁচ ঘণ্টা ধরে চলে পরিবারের লোকজনকে জিজ্ঞাসাবাদ। গত কয়েকদিন ধরেই নির্যাতিতার মা, ভাই, বৌদি, বাবা ও পরিবারের অন্য সদস্যদের একটানা জিজ্ঞাসাবাদ করছেন সিবিআইয়ের আধিকারিকরা। এমনকী নির্যাতিতার বেশ কিছু জামাকাপড় আধিকারিকরা নিজেদের সঙ্গে নিয়ে গিয়েছেন বলেও জানা গিয়েছে।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

ইতিমধ্যে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন নির্যাতিতার পরিবারের লোকজন। তাই তাঁরা গ্রাম ছেড়ে অন্য কোনও জায়গায় থাকার কথা ভাবতে শুরু করেছিলেন। এই নিয়ে সরকারের কাছে আবেদন জানায় নির্যাতিতার পরিবারের লোকজন। তাঁদের তরফ জানানো হয়, দিল্লি বা অন্য কোনও শহরে যেন তাদের থাকার ব্যবস্থা করে দেয় সরকার। অন্তত মামলার রায় বেরনো পর্যন্ত যেন তাঁদের গ্রামে থাকতে না হয়! দলিত পরিবারটির ওপর সমাজের তথাকথিত উঁচু জাতের লোকজন চাপ দেওয়ার চেষ্টা করছে। এমনকী হুমকিও শুনতে হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন তাঁরা। এদিন সিবিআইয়ের আধিকারিকরা ঘটনার একমাত্র প্রত্যক্ষদর্শী ছোটু নামক সেই যুবকের একটি ছবি নির্যাতিতার পরিবারের লোকজনকে দেখান। মোবাইলে সেই ছবি দেখে ছোটু নামের যুবককে চিনতে পারেননি নির্যাতিতার পরিবারের লোকজন।


আরও পড়ুন-  'উনি আগে উত্তরপ্রদেশ সামলান', শাহকে তৃণমূল


নির্যাতিতার বৌদি জানান, ওই যুবককে তাঁরা প্রথমবার দেখছেন। এদিন নির্যাতিতার মায়ের সঙ্গে দীর্ঘক্ষণ কথা বলেন সিবিআইয়ের আধিকারিকরা। জানতে চাওয়া হয়, তাঁদের পরিবারে মোট কয়টি মোবাইল ফোন ব্যবহার করা হয়! নির্যাতিতার বৌদি দাবি করেছেন, তাঁদের বাড়িতে মাত্র একটি মোবাইল ফোন রয়েছে। আর সেই মোবাইল থেকে নির্যাতিতা কখনো অভিযুক্তদের কারও সঙ্গে কোনো কথা বলেননি। সিবিআই আধিকারিকরা এদিন ঘটনাস্থল পরিদর্শনে গিয়েছিলেন। বেশ কিছুক্ষণ সেখানে থাকার পর নির্যাতিতার বাড়িতে এসে টানা সাড়ে পাঁচ ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। তারপর নির্যাতিতার বাড়ি থেকে তদন্তের স্বার্থে বেশ কিছু জিনিসপত্র নিয়ে রওনা দেন সিবিআই আধিকারিকরা।