`মোদীকে বদনাম করতে পরিকল্পনামাফিক হয়েছিল অ্যাওয়ার্ড ওয়াপসি`
বিহার বিধানসভা নির্বাচনের আগে ২০১৫ সালে দেশের ৫০ জন লেখক, সাহিত্যিক ও বুদ্ধিজীবী তাঁদের পুরস্কার ফেরত দেন। এর মধ্যে ছিলেন পশ্চিমবঙ্গের মন্দাক্রান্তা সেনের মতো লেখিকা। বিশ্বনাথ প্রসাদ তিওয়ারির দাবি, গোটা জিনিসটাই করা হয়েছিল রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে পরিকল্পনা করে।
নিজস্ব প্রতিবেদন: ২০১৫ সালে লেখক ও বুদ্ধিজীবীদের পুরস্কার ফেরত দেওয়ার হিড়িক একটা পরিকল্পনার অংশ ছিল। বিহার বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপিকে অস্বস্তিতে ফেলতেই পুরস্কার ফেরত দিয়েছিলেন বামপন্থী বুদ্ধিজীবীদের একাংশ। চাঞ্চল্যকর এই দাবি করলেন সাহিত্য অ্যাকাডেমির প্রাক্তন অধ্যক্ষ বিশ্বনাথ প্রসাদ। তাঁর দাবি, অকাট্য প্রমাণ রয়েছে তাঁর কাছে।
বিহার বিধানসভা নির্বাচনের আগে ২০১৫ সালে দেশের ৫০ জন লেখক, সাহিত্যিক ও বুদ্ধিজীবী তাঁদের পুরস্কার ফেরত দেন। এর মধ্যে ছিলেন পশ্চিমবঙ্গের মন্দাক্রান্তা সেনের মতো লেখিকা। বিশ্বনাথ প্রসাদ তিওয়ারির দাবি, গোটা জিনিসটাই করা হয়েছিল রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে পরিকল্পনা করে। তিনি বলেন, 'গোটা অ্যাওয়ার্ড ওয়াপসিটাই হয়েছে পরিকল্পনামাফিক। এটা কোনও স্বতঃস্ফূত ঘটনা ছিল না। কিছু বামপন্থী বুদ্ধিজীবী কেন্দ্রীয় সরকার ও নরেন্দ্র মোদীকে বদনাম করার জন্য একাজ করেছিলেন।'
২০১৫ সালে দেশে অসহিষ্ণুতা বাড়ছে এই অভিযোগে কেন্দ্রীয় সরকারের প্রদান করা বিভিন্ন পুরস্কার ফিরিয়ে দেন দেশের খ্যাতনামা প্রায় ৫০ জন লেখক ও সাহিত্যিক। যদিও প্রথম থেকেই বিজেপির দাবি ছিল, কেন্দ্রীয় সরকারকে বদনাম করতে এই কাজ করা হচ্ছে। বিশ্বনাথ প্রসাদ তিওয়ারির দাবি, কবি অশোক বাজপেয়ী এই কর্মসূচির পরিকল্পনা করেছিলেন। তাঁর কথাতেই পুরস্কার ফেরত দেন ৫০ জন কবি ও সাহিত্যিক।
স্ত্রীকে বিক্রির ফন্দি! বোবা মেয়ে সেজে অপহরণ স্বামীর, ধরা পড়ার পর চলল গণধোলাই
বিশ্বনাথ তিওয়ারির দাবি, দেশের ৫ জন সাহিত্যিক পরিকল্পনা করে এই ঘটনা ঘটিয়েছিলেন তার অকাট্য প্রমাণ রয়েছে তাঁর হাতে। এমনকী ২০১৪ সালে মোদীর ক্ষমতায় আসা আটকাতে পরিবেশ তৈরি করেছিলেন তাঁরা। সেই পরিকল্পনা ব্যর্থ হওয়ার পর বিহার বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপির হার উজ্জাপন করেছিলেন তাঁরা।