ওয়েব ডেস্ক : প্রধানমন্ত্রী মোদী ৫০০ ও ১০০০ টাকা নোট বাতিলের সিদ্ধান্তের কথা ঘোষণা করার পর কেটে গেল একটা সপ্তাহ। কিন্তু দেশজুড়ে মানুষের নোট ভোগান্তি চলছেই। কালোটাকা, জালনোটের কারবার আটকাতে মোদীর এই সিদ্ধান্তে কার্যত দ্বিধাবিভক্ত দেশবাসী। একদল বলছে ভালো পদক্ষেপ। অন্যদলের অভিযোগ, কোনও পরিকল্পনা ছাড়াই এতবড় সিদ্ধান্তে হয়রানি হচ্ছে সাধারণ মানুষেরই। ব্যাঙ্কে টাকা জমা, টাকা তোলা, টাকা বদলের জন্য সকাল থেকেই পড়ছে লম্বা লাইন। কিন্তু টাকা ফুরিয়ে গেলে ঘণ্টার পর ঘণ্টা দাঁড়িয়ে থেকেও মানুষকে ফিরতে হচ্ছে খালি হাতে। ওদিকে ATM-গুলোতে খুচরো টাকা মুহূর্তের মধ্যে শেষ। নতুন নোটও এসে ওঠেনি। অনেক ATM-এর তো ঝাঁপও ওঠেনি। কিন্তু এত দুর্ভোগের পিছনে মূল কারণটা কি সত্যিই সঠিক পরিকল্পনার অভাব নাকি ব্যাঙ্কগুলির RBI-এর নির্দেশ না মানা।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

রিপোর্ট বলছে, ২ নভেম্বর RBI সব ব্যাঙ্কগুলির উদ্দেশে একটি নির্দেশিকা (DCM(CC)No 1170/03.41.01/2016-17) জারি করা। যেখানে বলা হয়, প্রত্যেকটি ব্যাঙ্ককে জরুরি ভিত্তিতে ATM-গুলিতে ১০০ টাকার নোট মজুত করতে। ১০ শতাংশ ATM-কে শুধুমাত্র ১০০ টাকার ATM-এ বদলে ফেলতে। বড় টাকার নোট বাতিলে দেশে খুচরো টাকার চাহিদা মারাত্মক পরিমাণে বাড়বে বলেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। কিন্তু সেই সিদ্ধান্ত ব্যাঙ্কগুলি কতটা মেনেছিল, সেই নিয়েই এখন প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। প্রশ্ন উঠছে, যদি ব্যাঙ্কগুলি রিজার্ভ ব্যাঙ্কের নির্দেশ যথাযথভাবে মেনেই থাকে, তাহলে কি এভাবে ATM দুর্ভোগ চলত?


আরও পড়ুন, VIP নন! লাইনে দাঁড়িয়ে টাকা বদল করলেন প্রধানমন্ত্রী মোদীর মা