নিজস্ব প্রতিবেদন: সংসদীয় রাজনীতি থেকে কার্যত অবসরই নিয়ে ছিলেন তিনি। আর তিনি ভোটে দাঁড়াবেন না এমনই ছিল তাঁর এই ধনুক ভাঙা পণ। কিন্তু সেই পণ এক লহমায় ভেঙে গেল সোনিয়া গান্ধীর অনুরোধ আসতেই। এক শিকে দশক পর ফের রাজ্যসভায় প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী এইচডি দেবেগৌড়া। রবিবার রাজ্যসভায় সাংসদ হিসাবে শপথ নিলেন ৮৭ বছর বয়সী এই প্রবীণ রাজনীতিবিদ।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আজ উচ্চকক্ষে দেবেগৌড়াকে শপথ বাক্য পাঠ করান চেয়ারম্যান ভেঙ্কাইয়া নায়ডু। সব সদস্যকে করজোড়ে প্রণাম জানিয়ে আসন গ্রহণ করেন দেবেগৌড়া। ভেঙ্কাইয়া বলেন, তাঁর এই উপস্থিতি সংসদ আরও সমৃদ্ধ হবে। ১৯৯৬ সালে ওই কক্ষেরই সাংসদ হিসাবে ১১ তম প্রধানমন্ত্রিত্বের সুযোগ পান দেবেগৌড়া। জনতা দলের নেতৃত্বাধীন সরকারের ৩২৪ দিনের প্রধানমন্ত্রী ছিলেন দেবেগৌড়া। তার আগে ১৯৯৪ থেকে ৯৬ কর্নাটকের মুখ্যমন্ত্রী হয়েছেন তিনি।


রাজনীতির হাতেখড়ি কংগ্রেসের হাত ধরে। ১৯৬২ সাল পর্যন্ত সক্রিয় কর্মী ছিলেন দলের। ইন্দিরা গান্ধীর জমানা থেকে দেবেগৌড়ার সঙ্গে কংগ্রেসের সম্পর্ক তিক্ততায় পরিণত হয়। কংগ্রেস ভেঙে 'কংগ্রেস অর্গানাইজেশন' নামে একটি দলে যোগদান করেন তিনি। সাতাত্তরের এমার্জেন্সিতে জেলেও যান দেবেগৌড়া। এরপর জনতা পার্টির সভাপতি, কর্নাটকে জনতা পার্টি সরকারের মন্ত্রী হয়ে ১৯৯৪ সালে বিধানসভায় ব্যাপক জয়লাভের পর মুখ্যমন্ত্রী হন দেবেগৌড়া। 


কর্নাটক থেকে দেবেগৌড়া ছাড়াও কংগ্রেসের মল্লিকার্জুন খাড়গে, বিজেপির এরান্না কালাডি এবং অশোক গাস্তি বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় রাজ্যসভায় এলেন। মল্লিকার্জুন খাড়গে এবং দেবেগৌড়া গত লোকসভায় পরাজিত হন। কর্নাটকের তুমকুর কেন্দ্র থেকে বিজেপি প্রার্থী জি এস বাসবারাজের কাছে সামান্য ব্যবধানে পরাজিত হন দেবেগৌড়া। তারপরই নির্বাচনে দাঁড়ানো থেকে সন্ন্যাস নেন তিনি। 


আরও পড়ুন- সংক্রমণ ছড়াচ্ছে আগুনের মতো! সাত রাজ্যের সঙ্গে বৈঠকের সম্ভাবনা প্রধানমন্ত্রীর


আসন নিরিখে কর্নাটকের বিজেপির রয়েছে ১১৭টি। সেখানে রাজ্যসভায় অনায়াসে ২ জন প্রার্থী পাঠাতে সক্ষম। কংগ্রেসের হাতে রয়েছে ৬৮ বিধায়ক এবং জেডিএস-এর ৩৪। এক জন প্রার্থী কংগ্রেস পাঠাতে পারলেও অন্যটির ক্ষেত্রে জেডিএস-এর সমর্থন প্রয়োজন ছিল। তাই পাল্টা কংগ্রেসের সমর্থনে জেডিএস দেবেগৌড়াকে রাজ্যসভায় পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেয়। কিন্তু বেঁকে বসেন খোদ দেবেগৌড়া। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, সোনিয়া গান্ধীর অনুরোধ না এলে হয়তো নতুন করে নির্বাচনের আর দাঁড়াতেন না।