অ্যামাজন থেকে ১৬৬টি ফোন হাতিয়ে ৫০ লক্ষ টাকার প্রতারণা দিল্লির যুবকের!
ওয়েব ডেস্ক: প্রথমে অনলাইনে নামিদামি ফোনের অর্ডার দেওয়া, তারপর খালি বাক্স ডেলিভারি পেয়েছেন জানিয়ে ই-কমার্স সংস্থার কাছে টাকা ফেরতের দাবি জানানো। ই-কমার্স সংস্থা অ্যামাজনকে বোকা বানিয়ে এই ভাবে দু'মাসে ৫০ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠল দিল্লির শিবম চোপড়া নামে এক যুবকের বিরুদ্ধে।
কীভাবে অ্যামাজনকে দিনের পর দিন বোকা বানিয়েছেন শিবম?
পুলিস সূত্রের খবর, হোটেল ম্যানেজমেন্টের ছাত্র শিবম মুম্বইয়ের একটি বেসরকারি সংস্থায় চাকরি করতেন। কিন্তু সেই চাকরি চলে যায়। বেকার হতেই এই সব পরিকল্পনা মাথায় আসে তাঁর। প্রথমে নিজের বাড়ির পাশেই একটি মোবাইল ব্যবসায়ীর সঙ্গে জোট বাঁধে তিনি। এরপর ই-কর্মাস সংস্থায় ফোনের অর্ডার দেন। ডেভিলারি হওয়ার পর ই- কমার্স সংস্থাকে জানান, খালি বাক্স হাতে পেয়েছেন। এই ভাবেই অ্যামাজন থেকে প্রথমে দু'টি ফোনের টাকা আদায় করেন। প্রথম পরিকল্পনা সফল হওয়ার পরই এটাকে পেশা বানিয়ে নেন শিবম। এপ্রিল ও মে মাসে এইভাবে অ্যাপেল, স্যামসাং, ওয়ান প্লাস মোবাইল ফোন অ্যামাজনে অর্ডার দিতে থাকেন। ফোনগুলি হাতে পাওয়ার পর সেগুলিতে চোরা বাজারে বিক্রি করতেন শিবম। অ্যামাজনের কাছ থেকে দু'মাসে ৫০ লক্ষ টাকা আদায় করেন শিবম।
কীভাবে এই কাজ করতেন শিবম?
জানা গিয়েছে, শিবমকে এই কাজে সাহায্য করতেন সচিন জৈন নামে স্থানীয় এক মোবাইল ব্যবসায়ী। তিনি শিবমকে ১৪১টি প্রিঅ্যাক্টিভেটেড সিম কার্ড দেন। ওই সিম কার্ডগুলি ব্যবহার করে শিবম ভিন্ন ভিন্ন নামে ভুয়া ঠিকানায় মোবাইল অর্ডার দিতেন। অ্যামাজনের ডেলিভারি অ্যাসোসিয়েট ঠিকানা খুঁজে না পেলে অ্যাকাউন্টে নথিভুক্ত নম্বরে ফোন করতেন। ফোন ধরে বাড়ির পাশে নির্দিষ্ট একটি জায়গায় অ্যামাজনের ডেলিভারি বয়কে ডেকে পাঠাতেন, তাঁর কাছ থেকে ফোনটি নিতেন। পরে অ্যামাজনের কাছে শিবম দাবি করতেন, তিনি খালিবাক্স পেয়েছেন। পুলিস জানিয়েছে, একই কৌশলে ১৬৬ টি মোবাইল অ্যামাজন থেকে হাতিয়েছেন শিবম। ঘটনায় শিবম, সচিন-দুজনকেই গ্রেফতার করেছে পুলিস। শিবমের বাড়ি থেকে ১৯টি মোবাইল, নগদ ১২ লক্ষ টাকা উদ্ধার করেছে পুলিস।