নিজস্ব প্রতিবেদন : দিল্লি এখন গ্যাস চেম্বার। সেটা মেনে নিচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল। কিন্তু তাঁর দাবি, এই ভয়ানক বায়ুদূষণের জন্য দিল্লি দায়ি নয়। দায়ি পাঞ্জাব, হরিয়ানা। দূষণ মাত্রার সর্বোচ্চ সীমা ছাড়িয়েছে দিল্লিতে। হেলথ এমার্জেন্সি ঘোষণা করা হয়েছে রাজধানীতে। শুক্রবার ‘severe+’ জোনে নেমেছে দিল্লির বায়ুদূষণের মাত্রা। এদিন সকাল আটটা নাগাদ দিল্লির এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স ৪৫৯। দিল্লি, নয়ডা, গাজিয়াবাদ, গুরুগ্রাম, ফরিদাবাদে ৫ নভেম্বর পর্যন্ত সবরকম নির্মাণকাজ বন্ধ রাখতে নির্দেশ দিয়েছে প্রশাসন। ৫ নভেম্বর পর্যন্ত স্কুল ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে। দিল্লি-এনসিআর-এ গোটা শীতকালে কোনওরকম বাজি পোড়ানো যাবে না, নির্দেশিকা জারি করেছে দিল্লির প্রশাসন। স্টোন ক্রাশার, ডিজেল জেনেরেটর বন্ধ রাখতে হবে। যে যে কাজে সামান্যতম দূষণের আশঙ্কা রয়েছে এমন সব কিছুতেই নিষেধজ্ঞা জারি করেছে প্রশাসন।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

এখন প্রশ্ন হচ্ছে, ৫ নভেম্বর পর্যন্ত এত কিছুর উপর নিষেধাজ্ঞা জারি থাকলেও কি দূষণের মাত্রা নামিয়ে আনা যাবে? সে ব্যাপারে কোনও নিশ্চয়তা দিচ্ছে না দিল্লির প্রশাসন। শুক্রবার দিল্লির বাতাসে দূষণের মাত্রা ছিল মরশুমে সব থেকে বেশি। ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে দিল্লির বাতাসের অবস্থা উন্নতির দিকে না গেলে বন্ধ করা হতে পারে যান চলাচল। এছাড়া আরও বেশ কিছু পদক্ষেপ নেওয়া হতে পারে। বৃহস্পতিবার সকালে দিল্লির এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স ছিল ৪১০। যা কি না এদিন ৪৫৯ হয়ে যায়। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে দিল্লির এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স ৪৯৭ হয়ে যায়। এতটা অস্বাস্থ্যকর বাতাসে এর আগে দিল্লিবাসী কখনও শ্বাস-প্রশ্বাস নেননি। 


 আরও পড়ুন-  তিন বছরের রেকর্ড ভেঙে অক্টোবরে আরও বাড়ল বেকারত্বের হার



দিল্লির সরকার ৫০ লক্ষ N95 মাস্ক কিনেছে। সেগুলি বিভিন্ন স্কুলে বিলি করা হবে। এদিকে কেজরিওয়াল দিল্লির দূষণের দায় চাপিয়েছেন পাঞ্জাব-হরিয়ানার ঘাড়ে। তাঁর অভিযোগ চাষিদের স্টাবল পোড়াতে বাধ্য করছে দুই রাজ্যের সরকার। আর সেই দূষণ দিল্লির বাতাসে ছড়াচ্ছে। ইতিমধ্যে আরও মাস্ক কেনার পরিকল্পনা করছে কেজরিওয়ালের সরকার। প্রতিটি স্কুলে একজন পড়ুয়াকে দুটি করে মাস্ক দেওয়ার কথা ভাবছে প্রশাসন।